মোহাঃ সফিকুল ইসলাম,শিবগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জামায়াত শিবিরের নৈরাজ্যমূলক সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ফলস্বরুপ পলীবিদ্যুত ধ্বংস হওয়ায় ৫০দিন যাবত শিবগঞ্জবাসী অন্ধকারে জীবন যাপন করেেছ। বিভিন্ন ধরনের মিলকারখানা বন্ধ থাকার কারনে প্রায় ১ লাখ শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়ায় ঐ ১ লাখ পরিবারের প্রায় সাড়ে ৪লাখ মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। চড়া দামে ডিজেল কিনে ফসল বাঁচাতে গিয়ে লাধিক কৃষক অর্থনৈতিকভাবে তি গ্রস্থ হচ্ছে।লেখাপড়া করতে না পেরে হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যত জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
কেন এ পরিস্থিতি? গত ২৮ ফেব্রায়ারী আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী মাওলানা মোহাঃ দেলওয়ার হোসাঈন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরে জামায়াত শিবিররা পলীবিদ্যুতের ভবনে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে । ফলে পলীবিদ্যুতের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়।
তির পরিমানঃ- এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে পলী বিদ্যুতের ৩টি ভবন,১টি রেস্ট হাউস,৩টি স্ট্যাফ কোয়ার্টার, ৪০টি আবাসিক কোয়াটার,১ গোডাউন,১৫মেগাওয়াটের ১টি সাবস্টেশন,২৬টি মোটরসাইকেল,১টি পিকআপ,১টি কার,হাজার হাজার গজ বৈদ্যাতিক তার ও খুঁটিসহ প্রায় ২শ কোটি টাকার তি হয়েছে।
বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিঃ- হামলা চলাকালে সন্ত্রাসীরা আবাসিক এলাকায় ঢুকে আবাসিক এলাকার মহিলাদেরকে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জিম্মি করে ২শ ভরি স্বর্নাঙ্কার,নগদ টাকাসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নেয়। নিরুপায় হয়ে তারা এক কাপড়ে বাসা থেকে পালিয়ে জীবন বাঁচায়।
কৃষকের তিঃ-বিদ্যুত নষ্ট হওয়ায় ১শ ৬০টি গভীর নলকুপ,১হাজার ৪ শ ৯৯টি অগভীর নলকুপ ও ১৫টি এল এল পি সেচস্কীম বন্ধ হওয়ায় ৩৫হাজার কৃষক গ্রাহকের আবাদকৃত ৮হাজার হেক্টর জমির ইরিবোরো ধানের সেচ বন্ধ হওয়ায় যায়। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে অনেক কৃষক স্যালোমেশিনের সাহায্যে সেচব্যবস্থা চালু করলেও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের দাইপুকুরিয়া, শাহাবাজপুর ও মোবারকপুর ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ১হাজার ২ শ হেক্টর জমির ইরিবোরো ধান বাঁচানো সম্ভব না হওয়ায়প্রায় ২হাজার ৫শ কৃষক দিশাহারা। অন্যদিকে অসাধু ডিজেল ব্যবসায়ীরা সুযোগবুঝে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৫- ১০ টাকা বেশী নিচ্ছে। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন এলাকায় র্ঠিকমত সেচ দিতে না পারায় গম ও ভুট্টার ফলন কমে গেছে বলে কৃষকরা জানান।
বিদ্যুত বিছিন্ন থাকার ফলে কানসাট পলী বিদ্যুত সমিতির অধীনস্ত ২হাজার রাইস মিলের ৬হাজার শ্রমিক,৫শবরফ মিলের শ্রমিক ও বরফ বিক্রেতা ১০ হাজার,৬/৭ ওয়েল্ডিং ে মশিনের সাড়ে ৩হাজার মালিকও শ্রমিক,মোবাইল ফোন মেরামত কারী ১হাজর ৫শ দোক নের মালিক ও কর্মচারী মিলে প্রায় ৩ হাজার,ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার,ফান সব মিলে প্রায় ৩হাজার দোকান বন্ধ থাকায় ১৫ হাজার মালিক ও শ্রমিক সব মিলিয়ে প্রায় প্রায় ১৫ হাজার মিলকারখানা বন্ধ থাকায় লাধিক মানুষ বেকার হওয়ায় ঐ লাধিক পরিবারের সাড়ে৪লাখ মানুষ দীর্ঘ ৫০ দিন যাবত অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপনকরছে।
বর্তমান সময়ে যোগাযোগের মূল মাধ্যম মোবাইল ফোন ব্যবহার কারী শিবগঞ্জের প্রায় ৪ লাখ মানুষ চার্জ করা নিয়ে এতই বিপাকেপড়েছেযে বাড়ি থেকে ১২/১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মোবাইল প্রতি ১০ টাকা করে দিয়ে চার্জ করতে হচ্ছে। শিবগঞ্জের প্রায় ৫০ টি হাটবাজারে এভাবে টাকা নিয়ে মোবাইল চার্জ করা হচ্ছে।
শিা েেত্র বিপর্যয়ঃ- জাতির ভবিষ্যত কর্নধার এইচ এস সি পরীাথী-পরীাথিনী সহ লাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যুত না থাকায় লেখা পড়া বিঘœ হওয়ায় ফ লাফল চরম বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কয়েকজন মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এ প্রতিবেদককে জানায়,
তার ও ট্রান্স মিটার চুরির হিড়িকঃ- ২৮ ফেব্র“য়ারীর পর থেকে উপজেলার প্রায় প্রতিটিমাঠে ট্রান্সমিটার ওবৈদ্যাতিক তার চুরির হিড়িক পড়েছে।এ ৫০ দিনে কানসাট,দাইপুপুরিয়া মনাকষা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে শতাধিক ট্রান্স মিটার ওহাজার হাজার গজ তার চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে শিবগঞ্জে জামায়াত শিবির সহ ১৮ দল প্রায় প্রতিদিন হরতাল বিােভ সহ নানা ধরনের কর্মসূচী দেয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জামায়াত শিবির ১৮দলের লোকজনের সাথে আওয়ামী কর্মীদেরও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরন,টিয়ার সেলনিপে বোমা নিপে নিত্যনৈত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।এমনকি এক এলাকার বা ইউনিয়নের সাধারন মানুষও অন্য এলাকা বা ইউনিয়নের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও আতংকের মধ্যে থাকছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান জানান ২৮ফেব্র“য়ারীর পর পলীবিদ্যুতে আগুন দেয়া সহ বির্ভিন্ন ঘটনর প্রেেিত শিবগঞ্জ থানায় ২৩ টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৩ শতাধিকা আসামী রয়েছে নামীয় ও অজ্ঞাত ধরে প্রায় ১৭/১৮হাজার জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে। ইতিমধ্যে উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারী সম্পত্তি ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার েেত্র কেউ বিঘœ ঘটানোর চেষ্টা করলে সংগে সংগে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি ও ১৮দলের নেতা সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাঃ শাহ্জাহান আলি ি ময়া বলেন, পলী বিদ্যুত পুড়ানোর জন্য বিদ্যুত প্রতি মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অবঃ) আঃ এনামুল হককে ও জি এম কে (বর্তমানে অন্য স্থানে কর্মরত) সরাসরি দায়ী করে বলেন,জনগনের টাকায় গড়ে উঠা পলীবিদ্যুত কার্যালয়কে তারা দুই জনে পরিকল্পিত ভাবে অকার্যকর করে তাদের দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করেছে এবং ১৮দলের নেতা কর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মোহাঃ মনিরুল ইসলাম জানান গত ২৮ফেব্র“য়ারী পলী বিদ্যুত এলাকায় জামায়াত শিবিরের কোন কর্মী পিকেটিং করেনি।সরকারী দলের কর্মীরা নিজেরই পলীবিদ্যুতের আগুনদিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যুূত চালু থাকার পরও সরকার জনগনকে বিদ্যুত না দিয়ে অহেতুক কষ্ট দিচ্ছে।
বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী তাদের অভিযোগ নাকচ করে, জামায়াত শিবিরসহ ১৮ দল শুধু পলীবিদ্যুত ই ধ্বংস করেনি, সংখ্যালঘুদের মন্দিও ভাংচুর , পর্যটন মোটেল, শ্মশান ঘাট, সৌরবিদ্যুত সহ সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পর আমি প্রথম শিবগঞ্জের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় ও আমার মাধ্যমে শিবগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তারা ঈর্ষানত হয়ে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন ২০ বছরের ব্যবধানে তিল তিল করে গড়েতোলা পলী বিদ্যুত তারা মুহূর্ত্তেই ধ্বংস করে দিয়েছে। খুব শীঘ্রই বিদ্যুত চালু করার চেষ্টা করবো ইনশালাহ\
পলীবিদ্যুত সমিতির এ জি এম মোহাঃ হাসান শাহ নেওয়াজ জানান, আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। আগামী রবিবার ২১ এপ্রিল বিদ্যুতায়তন শুরু করবো ইনশালাহ।
কেন এ পরিস্থিতি? গত ২৮ ফেব্রায়ারী আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যাল আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধী মামলার আসামী মাওলানা মোহাঃ দেলওয়ার হোসাঈন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুপুরে জামায়াত শিবিররা পলীবিদ্যুতের ভবনে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে । ফলে পলীবিদ্যুতের সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যায়।
তির পরিমানঃ- এ সন্ত্রাসী কার্যকলাপে পলী বিদ্যুতের ৩টি ভবন,১টি রেস্ট হাউস,৩টি স্ট্যাফ কোয়ার্টার, ৪০টি আবাসিক কোয়াটার,১ গোডাউন,১৫মেগাওয়াটের ১টি সাবস্টেশন,২৬টি মোটরসাইকেল,১টি পিকআপ,১টি কার,হাজার হাজার গজ বৈদ্যাতিক তার ও খুঁটিসহ প্রায় ২শ কোটি টাকার তি হয়েছে।
বিদ্যুত অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের তিঃ- হামলা চলাকালে সন্ত্রাসীরা আবাসিক এলাকায় ঢুকে আবাসিক এলাকার মহিলাদেরকে ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে জিম্মি করে ২শ ভরি স্বর্নাঙ্কার,নগদ টাকাসহ যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নেয়। নিরুপায় হয়ে তারা এক কাপড়ে বাসা থেকে পালিয়ে জীবন বাঁচায়।
কৃষকের তিঃ-বিদ্যুত নষ্ট হওয়ায় ১শ ৬০টি গভীর নলকুপ,১হাজার ৪ শ ৯৯টি অগভীর নলকুপ ও ১৫টি এল এল পি সেচস্কীম বন্ধ হওয়ায় ৩৫হাজার কৃষক গ্রাহকের আবাদকৃত ৮হাজার হেক্টর জমির ইরিবোরো ধানের সেচ বন্ধ হওয়ায় যায়। অনেক কষ্টের মধ্য দিয়ে অনেক কৃষক স্যালোমেশিনের সাহায্যে সেচব্যবস্থা চালু করলেও উপজেলার উত্তরাঞ্চলের দাইপুকুরিয়া, শাহাবাজপুর ও মোবারকপুর ইউনিয়নের কয়েকটি মাঠে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ১হাজার ২ শ হেক্টর জমির ইরিবোরো ধান বাঁচানো সম্ভব না হওয়ায়প্রায় ২হাজার ৫শ কৃষক দিশাহারা। অন্যদিকে অসাধু ডিজেল ব্যবসায়ীরা সুযোগবুঝে ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৫- ১০ টাকা বেশী নিচ্ছে। বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন এলাকায় র্ঠিকমত সেচ দিতে না পারায় গম ও ভুট্টার ফলন কমে গেছে বলে কৃষকরা জানান।
বিদ্যুত বিছিন্ন থাকার ফলে কানসাট পলী বিদ্যুত সমিতির অধীনস্ত ২হাজার রাইস মিলের ৬হাজার শ্রমিক,৫শবরফ মিলের শ্রমিক ও বরফ বিক্রেতা ১০ হাজার,৬/৭ ওয়েল্ডিং ে মশিনের সাড়ে ৩হাজার মালিকও শ্রমিক,মোবাইল ফোন মেরামত কারী ১হাজর ৫শ দোক নের মালিক ও কর্মচারী মিলে প্রায় ৩ হাজার,ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার,ফান সব মিলে প্রায় ৩হাজার দোকান বন্ধ থাকায় ১৫ হাজার মালিক ও শ্রমিক সব মিলিয়ে প্রায় প্রায় ১৫ হাজার মিলকারখানা বন্ধ থাকায় লাধিক মানুষ বেকার হওয়ায় ঐ লাধিক পরিবারের সাড়ে৪লাখ মানুষ দীর্ঘ ৫০ দিন যাবত অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপনকরছে।
বর্তমান সময়ে যোগাযোগের মূল মাধ্যম মোবাইল ফোন ব্যবহার কারী শিবগঞ্জের প্রায় ৪ লাখ মানুষ চার্জ করা নিয়ে এতই বিপাকেপড়েছেযে বাড়ি থেকে ১২/১৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে মোবাইল প্রতি ১০ টাকা করে দিয়ে চার্জ করতে হচ্ছে। শিবগঞ্জের প্রায় ৫০ টি হাটবাজারে এভাবে টাকা নিয়ে মোবাইল চার্জ করা হচ্ছে।
শিা েেত্র বিপর্যয়ঃ- জাতির ভবিষ্যত কর্নধার এইচ এস সি পরীাথী-পরীাথিনী সহ লাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যুত না থাকায় লেখা পড়া বিঘœ হওয়ায় ফ লাফল চরম বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কয়েকজন মেধাবী ছাত্র ছাত্রী এ প্রতিবেদককে জানায়,
তার ও ট্রান্স মিটার চুরির হিড়িকঃ- ২৮ ফেব্র“য়ারীর পর থেকে উপজেলার প্রায় প্রতিটিমাঠে ট্রান্সমিটার ওবৈদ্যাতিক তার চুরির হিড়িক পড়েছে।এ ৫০ দিনে কানসাট,দাইপুপুরিয়া মনাকষা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে শতাধিক ট্রান্স মিটার ওহাজার হাজার গজ তার চুরি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনার পর থেকে শিবগঞ্জে জামায়াত শিবির সহ ১৮ দল প্রায় প্রতিদিন হরতাল বিােভ সহ নানা ধরনের কর্মসূচী দেয়ায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জামায়াত শিবির ১৮দলের লোকজনের সাথে আওয়ামী কর্মীদেরও পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরন,টিয়ার সেলনিপে বোমা নিপে নিত্যনৈত্তিক ব্যাপার হয়ে গেছে।এমনকি এক এলাকার বা ইউনিয়নের সাধারন মানুষও অন্য এলাকা বা ইউনিয়নের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতেও আতংকের মধ্যে থাকছে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান জানান ২৮ফেব্র“য়ারীর পর পলীবিদ্যুতে আগুন দেয়া সহ বির্ভিন্ন ঘটনর প্রেেিত শিবগঞ্জ থানায় ২৩ টি মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে ৩ শতাধিকা আসামী রয়েছে নামীয় ও অজ্ঞাত ধরে প্রায় ১৭/১৮হাজার জন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নাগালের মধ্যে। ইতিমধ্যে উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সরকারী সম্পত্তি ও জনগনের জানমালের নিরাপত্তার েেত্র কেউ বিঘœ ঘটানোর চেষ্টা করলে সংগে সংগে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি ও ১৮দলের নেতা সাবেক এমপি অধ্যাপক মোহাঃ শাহ্জাহান আলি ি ময়া বলেন, পলী বিদ্যুত পুড়ানোর জন্য বিদ্যুত প্রতি মন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল(অবঃ) আঃ এনামুল হককে ও জি এম কে (বর্তমানে অন্য স্থানে কর্মরত) সরাসরি দায়ী করে বলেন,জনগনের টাকায় গড়ে উঠা পলীবিদ্যুত কার্যালয়কে তারা দুই জনে পরিকল্পিত ভাবে অকার্যকর করে তাদের দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করেছে এবং ১৮দলের নেতা কর্মীদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মাওলানা মোহাঃ মনিরুল ইসলাম জানান গত ২৮ফেব্র“য়ারী পলী বিদ্যুত এলাকায় জামায়াত শিবিরের কোন কর্মী পিকেটিং করেনি।সরকারী দলের কর্মীরা নিজেরই পলীবিদ্যুতের আগুনদিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি আরো জানান, বিদ্যুূত চালু থাকার পরও সরকার জনগনকে বিদ্যুত না দিয়ে অহেতুক কষ্ট দিচ্ছে।
বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী তাদের অভিযোগ নাকচ করে, জামায়াত শিবিরসহ ১৮ দল শুধু পলীবিদ্যুত ই ধ্বংস করেনি, সংখ্যালঘুদের মন্দিও ভাংচুর , পর্যটন মোটেল, শ্মশান ঘাট, সৌরবিদ্যুত সহ সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা পর আমি প্রথম শিবগঞ্জের প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় ও আমার মাধ্যমে শিবগঞ্জের ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় তারা ঈর্ষানত হয়ে একের পর এক নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুত চালুর ব্যাপারে তিনি বলেন ২০ বছরের ব্যবধানে তিল তিল করে গড়েতোলা পলী বিদ্যুত তারা মুহূর্ত্তেই ধ্বংস করে দিয়েছে। খুব শীঘ্রই বিদ্যুত চালু করার চেষ্টা করবো ইনশালাহ\
পলীবিদ্যুত সমিতির এ জি এম মোহাঃ হাসান শাহ নেওয়াজ জানান, আমাদের কার্যক্রম পুরোদমে চলছে। আগামী রবিবার ২১ এপ্রিল বিদ্যুতায়তন শুরু করবো ইনশালাহ।