চাঁপাইনবাবগঞ্জনিউজ, ১৪ এপ্রিল ২০১১: পহেলা বৈশাখ। বাংলা সনের প্রথম দিন। দুপুর গড়িয়ে তখন বিকেল হয়নি। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ। বাংলা নববর্ষ ১৪১৮ সনকে বরণ করতে জেলা শহরের প্রধান আয়োজন ‘বৈশাখী মেলা’ কে ঘিরেই এতো জনসমাগম। নতুন বছরের প্রথম বৃষ্টিপাতের আগ পর্যন্ত শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্কদের আগমনে মেলা চত্বরে ‘তিল ধরানো’র যায়গা ছিল না।
জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৩ দিনের জন্য আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলা চলবে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা উপভোগ করা যাবে। সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরুর পর থেকেই কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। মুখে আলপনা আর বাহারী পোশাক পড়ে শত শত দর্শনার্থী মেলাকে করে তোলে প্রাণবন্ত। তবে দুপুরের পর থেকেই মেলাকে ঘিরে ভিন্ন মাত্রাযোগ হয়। দূরদুরান্তের হাজার হাজার মানুষ উৎসবের আমেজে পরিবার পরিজননকে নিয়ে মেলা চত্বরে আসে। মেলায় শিশুদের খেলনার দোকান, বিভিন্ন ষ্টলে উপচেপড়া ভীড় ল করা যায়। বিশাল হরিমোহন মাঠে বিশাল জনসমাগমে অনেককেই বিরম্বনার মধেও পড়তে হয়েছে। বিরম্বনার শেষটা যোগ হয়েছে হটাৎ বৃষ্টিতে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে কয়েক দফা বিদ্যুৎ চমকানোর পর নতুন বছরের প্রথম বৃষ্টিপাতে মেলায় আশা মানুষকে বিপাকে ফেলে। হটাৎ এই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে অনেকই। আর যাত্রা শুরুর দিনেই মেলা বন্ধ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই।
এদিকে, এর আগে সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে ব্যতিক্রমী আমন্ত্রণ পত্র ‘বটপাতায় দেয়া আমন্ত্রণ’ পত্রের অতিথিদের নিয়ে পান্তা ইলিশ খাওয়া আর বর্ষবরণের গান দিয়ে শুরু হয় বৈশাখী উৎসব। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে। বর্ণিল এ শোভাযাত্রায় ফুটে উঠে আবহমান বাংলার তথা বাঙ্গালির ঐতিহ্যের নানান চিত্র। শোভাযাত্রার সম্মুখভাবে শোভায় অনেক টাকার বিনিময়ে স্পনসর নেয়া বেসরকারি মোবাইল কোম্পানী রবি’র লাল রঙের ব্যানার। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক কেএম আলী আজম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, পৌর মেয়র আব্দুল মতিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ শিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম রাব্বানীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
দিবসটি উপলে গ্রীণভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্কুল ছাত্রীদের স্কীপিং প্রতিযোগিতা, হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে লোকনৃত্য, লোকসংগিত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মেলা আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
নতুন বছরকে বরণ করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্ধ কল্যাণ সমিতি শহরের শাহীবাগ এলাকায় অবস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ চু হাসপাতাল চত্বরে আয়োজন নানান অনুষ্ঠানমালার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। এ ছাড়া উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিকে, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলাতেও সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে।
পোষ্ট/অলক/চাঁপাই
জেলা প্রশাসনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ৩ দিনের জন্য আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। এর আগে সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলার উদ্বোধন করা হয়। মেলা চলবে আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা উপভোগ করা যাবে। সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে মেলা শুরুর পর থেকেই কিশোর-কিশোরী, তরুন-তরুনীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠে। মুখে আলপনা আর বাহারী পোশাক পড়ে শত শত দর্শনার্থী মেলাকে করে তোলে প্রাণবন্ত। তবে দুপুরের পর থেকেই মেলাকে ঘিরে ভিন্ন মাত্রাযোগ হয়। দূরদুরান্তের হাজার হাজার মানুষ উৎসবের আমেজে পরিবার পরিজননকে নিয়ে মেলা চত্বরে আসে। মেলায় শিশুদের খেলনার দোকান, বিভিন্ন ষ্টলে উপচেপড়া ভীড় ল করা যায়। বিশাল হরিমোহন মাঠে বিশাল জনসমাগমে অনেককেই বিরম্বনার মধেও পড়তে হয়েছে। বিরম্বনার শেষটা যোগ হয়েছে হটাৎ বৃষ্টিতে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে কয়েক দফা বিদ্যুৎ চমকানোর পর নতুন বছরের প্রথম বৃষ্টিপাতে মেলায় আশা মানুষকে বিপাকে ফেলে। হটাৎ এই বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে অনেকই। আর যাত্রা শুরুর দিনেই মেলা বন্ধ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা আগেই।
এদিকে, এর আগে সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সার্কিট হাউসে ব্যতিক্রমী আমন্ত্রণ পত্র ‘বটপাতায় দেয়া আমন্ত্রণ’ পত্রের অতিথিদের নিয়ে পান্তা ইলিশ খাওয়া আর বর্ষবরণের গান দিয়ে শুরু হয় বৈশাখী উৎসব। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিভিন্ন সামাজিক সংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদণি করে। বর্ণিল এ শোভাযাত্রায় ফুটে উঠে আবহমান বাংলার তথা বাঙ্গালির ঐতিহ্যের নানান চিত্র। শোভাযাত্রার সম্মুখভাবে শোভায় অনেক টাকার বিনিময়ে স্পনসর নেয়া বেসরকারি মোবাইল কোম্পানী রবি’র লাল রঙের ব্যানার। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক কেএম আলী আজম, পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রুহুল আমীন, পৌর মেয়র আব্দুল মতিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কলেজ শিক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার গোলাম রাব্বানীসহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
দিবসটি উপলে গ্রীণভিউ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্কুল ছাত্রীদের স্কীপিং প্রতিযোগিতা, হরিমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে লোকনৃত্য, লোকসংগিত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে মেলা আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
নতুন বছরকে বরণ করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অন্ধ কল্যাণ সমিতি শহরের শাহীবাগ এলাকায় অবস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ চু হাসপাতাল চত্বরে আয়োজন নানান অনুষ্ঠানমালার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রুহুল আমিন। এ ছাড়া উদীচীসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন তাদের নিজস্ব উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এদিকে, শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলাতেও সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয়েছে।
পোষ্ট/অলক/চাঁপাই
0 comments :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন