রাজশাহীর তানোরে সরকারী ভাবে বরাদ্দ পাওয়া ৩৩৬টি শীত বস্ত্র কর্তৃপরে অবহেলায় তানোর উপজেলা পরিষদ গোডাউনে পড়ে থাকলেও বিতরণের উদ্দ্যোগ নেয়া হয়নি। এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী জিয়াউল বাসেত বলেন, গত সপ্তাখানেক আগে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে তানোর উপজেলা প্রতিবন্ধী শীতার্থদের মাঝে ৩৩৬টি শীত বস্ত্র বিতরণের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু উর্দ্ধতন কর্তৃপরে নির্দেশের অপোয় তা বিতরণ করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপরে নির্দেশ আসতে পারে এ নির্দেশ পাওয়া মাত্রই শীতার্থদের তালিকা তৈরি করে বিতরণ করা হবে। গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীত ও ঘন কোয়াশার কারনে তানোরের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ দরিদ্র মানুষ হাড় কাঁপানো এ শীতে যেমন কষ্ট পাচ্ছে তেমনি জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে টপটপ করে শিশির পড়া শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। এঅবস্থায় জবুথবু হয়ে পড়েছে এউপজেলার মানুষ। গত তিনদিন ধরে সূর্যের মূখ দেখা যায়নি বললে ভুল হয় না। কেবল মাত্র বেলা দেড়টার দিকে সূর্য্য দেখা গেলেও বিকেল হওয়ার সঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে। এরপর থেকে শুরু হচ্ছে ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে শিশির পড়া। এনিয়ে তানোর পৌর এলাকার জিওল গ্রামের স্বামী হারা অসহায় বৃদ্ধ নারী আফরোজা ও সুরুতজান জানান, তাদের বয়স সত্তরের (৭০) কোটায়। এই বৃদ্ধ বয়সে তারা অভাবের তাড়নায় শীত নিবারণের জন্য তেমন কোন গমর কাপড়ের ব্যবস্থা করতে পারেন নি। একারণে এই হাড় কাঁপানো শীতে পরণের কাপড়টুকুই তাদের সম্বল। প্রচন্ড শীতে তারা এভাবেই দিন পার করছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে ওই দুই বৃদ্ধ নারীর সঙ্গে কথা হলে তারা শীতের তীব্রতার কথাগুলো বলতে বলতে পরিশেষে এভাবেই তারা বললেন পৌষ মাসের শীতেই বাচি না এবার মাঘের শীতে মনে হয় মরে যাব। শুধু আফরোজা ও সুরুতজান নয় তাদের মত তানোরের হাজারো তৃণমূল নারী-পুরুষ প্রচন্ড এই শীতে কাতরাচ্ছেন। শীত নিবারণের কোন ব্যবস্থা নেই তাদের। জানা যায়, এবারের এই শীতে পুরো উপজেলার হাজারো অসহায় ও দুস্থ নারী-পুরুষ প্রচন্ড কষ্ট পাচ্ছেন। এঅবস্থায় সরকারের পাশাপাশি ধনাঢ্য ব্যক্তি কিংবা বিভিন্ন সাহায্য সংস্থা এই শীতার্থ মানুষের পাশে দাঁড়াই নি। এতটুকু তাদের কোন সহায়তা মিলে নি। শীতে তাদের প্রায় জুবু থুবু অবস্থা কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কেউ তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেনি। উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় হাজারো শীতার্ত বৃদ্ধ নারী-পুরুষদের শীতে কাঁপতে দেখা যায়। তানোর হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় সর্বত্রই চলছে শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া। ফলে, উপজেলার প্রায় এলাকায় নিমোনিয়া, ডায়রিয়া ও শ্বাস কষ্টের স্বীকার হচ্ছে শিশুসহ বৃদ্ধরা। আর এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে তানোর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে হাজারো মানুষ। পৌষ মাসের শুরুতে উপজেলার গোকুল গ্রামের এক বছরের শিশু মিনহাজ্জ, মুন্ডুমালা গ্রামের তানজিলা, যশপুর গ্রামের বাবু ছাড়াও লালপুর গ্রামের মমতাজসহ আরো অনেক শিশু এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। শুধু শিশুরা নয় এসব ডায়রিয়া জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্কোরাও। পৌষ মাসের শুরুতেই তীব্র শীত, হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বৃদ্ধরা ছাড়াও ছিন্নমূল মানুষ। একারণে থেমে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। দরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষ সকাল-সন্ধ্যায় তীব্র শীতের কারণে খড়কুটো দিয়ে আগুন জালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে দেখা গেছে, এমন দৈন্য চিত্র। এছাড়া উপজেলা পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতেও তীব্র শীত ও শৈতপ্রবাহের কারণে খেটে খাওয়া মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
জানা যায়, শীত বস্ত্রের অভাবে তারা কষ্ট পেলেও স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র প্রদানের জন্য তাদের কাছে কেউ এগিয়ে আসেননি। সকাল সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে এবং রাতের বেলা ধানের খড় ও খেজুর পাটি বিছিয়ে তারা শিশুদের নিয়ে শীত থেকে পরিত্রাণ লাভের চেষ্টা করছেন। শীত থেকে দরিদ্র মানুষকে রার জন্য তারা প্রশাসনসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, দানশীল ব্যক্তি ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। এনিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত জানান, এবারে পুরো উপজেলায় সরকারিভাবে ৩৩৬টি শীতবস্ত্র বরাদ্দ হলেও এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। শীতার্থ মানুষের তুলনায় এই সামান্য বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র হাতে পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।
জানা যায়, শীত বস্ত্রের অভাবে তারা কষ্ট পেলেও স্থানীয়ভাবে শীতবস্ত্র প্রদানের জন্য তাদের কাছে কেউ এগিয়ে আসেননি। সকাল সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়ে এবং রাতের বেলা ধানের খড় ও খেজুর পাটি বিছিয়ে তারা শিশুদের নিয়ে শীত থেকে পরিত্রাণ লাভের চেষ্টা করছেন। শীত থেকে দরিদ্র মানুষকে রার জন্য তারা প্রশাসনসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা, দানশীল ব্যক্তি ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন। এনিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী জিয়াউল বাসেত জানান, এবারে পুরো উপজেলায় সরকারিভাবে ৩৩৬টি শীতবস্ত্র বরাদ্দ হলেও এখনো হাতে পাওয়া যায়নি। শীতার্থ মানুষের তুলনায় এই সামান্য বরাদ্দ খুবই অপ্রতুল। সরকারের বরাদ্দকৃত শীতবস্ত্র হাতে পাওয়া গেলে বিতরণ করা হবে।