
প্রচ- শীত উপেক্ষা করে মহান আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভের আশায় দলে দলে ইজতেমায় শরিক হতে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে জড়ো হয়েছেন লাখো মুসল্লি। যোগ দিয়েছেন বিদেশী হাজার হাজার মুসল্লি। বিশ্ব মুসলিম উম্মার দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজের জামায়াত।
দুই পর্বে ভাগ হয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্বের তিন দিনের বিশ্ব ইজতেমা বাদ ফজর আনুষ্ঠানিকভাবে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে রবিবার।
চার দিন বিরতি পর ১৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২০ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমা।
বাংলাদেশ ছাড়া বিদেশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন ভারত ও পাকিস্তান থেকে। অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- বার্মা, মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ইরান, উমান, ব্রুনাই, কুয়েত, কুরিয়া, চীন, জর্দান, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ফিলিপিন, মালয়েশিয়া, সিরিয়া, মিশর, সিঙ্গাপুর, লেবানন, আলজেরিয়া, মরক্কো, সোমালিয়া, তাঞ্জানিয়া, চাদ, ইয়েমেন, নাইজেরিয়া, তিউনেশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, কানাডা, কম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, ফিজি, জাম্বিয়া, ফ্রান্স, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কেনিয়া, মৌরিতানিয়া, মালি, নরওয়ে, আফ্রিকা, ফিলিস্তিন, জিবুতি, ঘানা, কাতার, জাপান ও জার্মানসহ আরো অনেক দেশ।
ইজতেমা মাঠে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মুসল্লিদের আনা-নেয়ার জন্য বিশেষ বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে খাবার পানি সরবরাহ, স্যানিটেশনসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।
পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে র্যাব-পুলিশ।