ভোলাহাটে এক খুন ও সহিংসতা > প্রকাশিত সংবাদে কত ভিন্নতা


চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটের পোল্লাডাঙ্গায় এক যুবলীগ নেতা খুন ও সংহিসতা নিয়ে প্রায় সংবাদ পত্রে গুরুত্ব সহকারে সংবাদটি ছাপা হয়েছে। একেক পত্রিকায় ছাপা সংবাদের ভিন্নতা দেখুন প্রথমে .... সংবাদের শেষে পত্রিকার লিংক দেয়া হয়েছে-

সংবাদগুলোয় দেখা গেছে কেউ কেউ বলেছেন, হামালায় হত্যাকাণ্ড ও সংহিসতা হয়েছে। কেউ বলেছেন, সংঘর্ষে মারা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়েছে।  যারা কাছ থেকে দেখেছেন এবং শুনেছেন। তারা যানেন আসল ঘটনা কি; কিন্তু যারা সংবাদ পত্রের উপর নির্ভর করেন। তারা কিভাবে ‘সঠিকের’ কাছাকাছি পৌছবেন? এই প্রশ্ন থেকেই যায়.................................

ইনকিলাব-
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, হরতাল চলাকালে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা ও দোকান-পাট বন্ধ ছিল। সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। তবে রহনপুর রেল স্টেশন থেকে খুব সকালে দু’টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এদিকে ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গায় হরতাল সমর্থনকারী বিএনপি, জামায়াত কর্মীদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে পোলাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আ. রহমান (২৬) নামে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হয়। হরতাল চলাকালে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা পোলাডাঙ্গা বাজারে আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালানোর সময় আ. রহমান বাধা দিলে তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লে¬ক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। অপরদিকে আওয়ামী লীগ কর্মী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ২টি মোটরসাইকেল ও ধানের গুদামে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে রহনপুর ফায়ার স্টেশনের একটি পিকআপ ভোলাহাটের মুশরীভূজায় পৌঁছলে আগুন লাগিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
http://www.dailyinqilab.com/details_news.php?id=95751&&%20page_id=%205


নয়াদিগন্ত-

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে  যুবলীগ কর্মী আব্দুর রহমান (২৬) নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার পোলাডাঙ্গা হাটখোলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রত্যদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা পোলাডাঙ্গা হাটখোলা বাজার এলাকায় মিছিল বের করেন। এ সময় হরতালে দোকান খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে তাদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়প সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। লাঠিসোটা, ধারাল অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ওই এলাকা রণেেত্র পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে সাত-আটটি দোকান ও দু’টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর জন্য পাশের গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় দুপুরে ভোলাহাটের মুসরীভুজায় পৌঁছলে হরতাল সমর্থকেরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেন।
সংঘর্ষে আহত স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আব্দুর রহমানকে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ছাড়াও সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ভোলাহাট থানার ওসি শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, সংঘর্ষের পর ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জনকণ্ঠ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গা এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে ১ যুবলীগ কর্মী নিহত ও আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন।
নিহত ব্যক্তি হচ্ছে, জেলার ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে আব্দুর রহমান (২৬)। নিহত আব্দুর রহমান ভোলাহাট উপজেলা যুবলীগের কর্মী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত আব্দুর রহমানের পোলাডাঙ্গা বাজারে ১টি কম্পিউটারের দোকান ছিল। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকরা ভোলাহাট উপজেলার মুসরীভুজা এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে। মিছিলটি পোলাডাঙ্গা বাজারে পৌঁছে আব্দুর রহমানের দোকানসহ কয়েকটি দোকান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও ২টি মোটরসাইকেল ভাংচুর শুরু করলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। সংঘর্ষে পিটুনি ও ছুরিকাঘাতে আব্দুর রহমান গুরুতর আহত হয়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ওই সংঘর্ষে আরও ১০ জন আহত হয়েছে।
তিনি জানান, পোলাডাঙ্গা এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি রহনপুর থেকে যাওয়ার পথে দুপুর পৌনে ১টার দিকে মুসরীভুজা এলাকায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীরা ওই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় বিজিবি মোাতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।



বাংলাদেশ প্রতিদিন
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : হরতাল চলাকালে জেলার ভোলাহাটে ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যা ও ১৫ জনকে জখম করেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি ক্যাডাররা। নিহত আ. রহমান (২৫) দলদলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেলা পৌনে ১১টার দিকে হরতালের সমর্থনে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা যৌথভাবে লাঠিসোঁটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিল বের করে ভোলাহাট উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা হাটখোলা বাজারে দোকানপাটে হামলা চালায়। এ সময় চায়ের দোকানে বসে থাকা ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রহমানকে মিছিলকারীরা ধরে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে মিছিলকারীরা ছয়টি দোকানে অগ্নিসংযোগসহ ১১টি দোকান, একটি বাড়ি, দুটি মোটরসাইকেল ও ১৬টি বাইসাকেল ভাঙচুর করে। এ সময় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সহায়তায় এলাকাবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুললে হামলাকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে ১৫ জন আহত হন। এ ছাড়া বেলা ১২টার দিকে রহনপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি আগুন নেভানোর জন্য ভোলাহাট যাওয়ার পথে পিকেটাররা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে আবদুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যা ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

যায়যায়দিন-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় হরতালকারীদের সঙ্গে সরকার-সমর্থকদের সংঘর্ষে এক যুবলীগকর্মী নিহত হয়েছেন। নিহত আবদুর রহমান (২৬) ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে। উপজেলার পোলাডাঙ্গা বাজারে রহমানের একটি কম্পিউটারের দোকান আছে। তিনি স্থানীয়ভাবে যুবলীগকর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার সকালে পোলাডাঙ্গা বাজারে হরতাল-সমর্থকরা মিছিল নিয়ে এসে রহমানের দোকানসহ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর করে এবং দুটি মোটরসাইকেল ও একটি ধান-চালের গুদামে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায় বলে জানান ভোলাহাট থানার ওসি শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তিনি জানান, এ সময় হরতাল-সমর্থকরা রহমানসহ অন্তত ১০ জনকে লাঠি দিয়ে ব্যাপকভাবে মারধর করে এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। স্থানীয়রা রহমানকে উদ্ধার করে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান ওসি। এ ঘটনায় আহত ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে বুধবার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ প- হয়ে গেলে সরকারকে দায়ী করে বৃহস্পতিবার সারাদেশে হরতাল ডাকেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে জানানো হয়, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এই হরতাল পালন করা হবে। অগি্ননির্বাপক বাহিনীর গাড়িতে আগুন পোলাডাঙ্গা বাজারে আগুন দেয়ার সংবাদ পেয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর অগি্ননির্বাপক বাহিনীর একটি ইউনিট সেখানে রওনা দেয়। পথে মুসরিভোজা এলাকায় বেলা ১টার দিকে হরতাল-সমর্থকরা ওই গাড়ি থামিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানান রহনপুর অগি্ননির্বাপক বাহিনীর স্টেশন কর্মকর্তা আবুল হাসান।


কালের কণ্ঠ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : ভোলাহাটের পোলাডাঙ্গা বাজারে গতকাল সকালে জামায়াত-বিএনপির হামলায় নিহত যুবলীগকর্মী আবদুর রহমান (২৭) পোল্লাডাঙ্গা হাজিপাড়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে। তিনি দলদলি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ছিলেন। হামলার সময় কয়েকটি বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলাহাটের মুশরিভুজা এলাকা থেকে জামায়াত ও বিএনপি যৌথভাবে হরতালের সমর্থনে একটি বড় মিছিল বের করে। ভোলাহাট উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলা বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের নেতৃত্বে মিছিলটি ময়ামারী দিয়ে পোল্লাডাঙ্গা বাজারের কাছে পেঁৗছালে আমবাগান এলাকায় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ধাওয়া করে কয়েকজন। পরে মিছিলটি পোল্লাডাঙ্গা বাজারে ঢুকে শুরু করে ব্যাপক তাণ্ডব।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, হামলাকারীরা বাজারে মনিরুল, আরিফ, সনি, সাইদুর রহমানের দোকানসহ ছয়-সাতটি দোকান এবং কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। তারা ওই সব বাড়ির সামনে থাকা দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এবং একটি ধান-চালের চাতালের গুদাম ও দুটি বাড়িতে আগুন দেয়। ওই সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগকর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দিতে গেলে হামলাকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আবদুর রহমানকে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে আঘাত করে এবং পিঠে একাধিক কোপ দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আহত অন্যদের ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলা, ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগের খবর পেয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নেভানোর জন্য ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে ভোলাহাটের মুশরিভুজার জামতলা বাজারের কাছে জামায়াত-বিএনপিকর্মীদের হামলার শিকার হয়। হামলাকারীরা ফায়ার সার্ভিসের গাড়িটি ভাঙচুর করে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা হাসান আলী, চালক নাজমুলসহ আটজন আহত হন। ভোলাহাট থানার ওসি শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানিয়েছেন, ঘটনার পর বিপুলসংখ্যক র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পেঁৗছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অভিযান শুরু করেছে।



যুগান্তর-

PuvcvBbeveM‡Äi †fvjvnv‡U e„n¯úwZevi niZv‡j RvgvqvZ-wkwei I weGbwc K¨vWvi‡`i nvgjvq GK QvÎjxM †bZv wbnZ n‡q‡Qb| GQvov evwoNi-†`vKvbcvU, dvqvi mvwf©‡mi Mvwo‡Z AwMœms‡hvMmn 15 Rb‡K AvnZ Kiv n‡q‡Q| NUbvi m‡½ RwoZ _vKvi Awf‡hv‡M cywjk 15 RvgvqvZ-weGbwc-wkwei K¨vWvi‡K †MÖdZvi K‡i‡Q| †ejv †cŠ‡b 11Uvi w`‡K weGbwc, RvgvqvZ-wkwei †hŠ_ wgwQj †ei K‡i Dc‡Rjvi `j`jx BDwbq‡bi †cvjvWv½v nvU‡Lvjv evRv‡ii †`vKvbcv‡U nvgjv Pvjvq| G mgq GKwU Pv‡qi †`vKv‡b e‡m _vKv †cvjvWv½v MÖv‡gi `vD` Avjxi †Q‡j QvÎjxM †bZv Ave`yi ingvb‡K wgwQjKvixiv aviv‡jv A¯¿ w`‡q Kzwc‡q nZ¨v K‡i| 6wU †`vKv‡b AwMœms‡hvM, 5wU †`vKvb, GKwU evwo, `ywU †gvUimvB‡Kj I 16wU evBmvB‡Kj fvsPzi K‡i Av¸b †`q Zviv| GjvKvevmx cÖwZ‡iva M‡o Zzj‡j nvgjvKvix‡`i m‡½ msNl© †e‡a hvq| G‡Z 15 Rb AvnZ nb| cywjk I GjvKvevmx GK‡RvU n‡j RvgvqvZ-wkwei I weGbwc K¨vWviiv wcQz n‡U| RvgvqvZ-wkwei I weGbwc K¨vWviiv dvqvi mvwf©‡mi Mvwo‡Z Av¸b †`q| AvIqvgx jxM I QvÎjxM †bZviv e‡jb, †Kvb DmKvwb QvovB RvgvqvZ-wkwei I weGbwci mk¯¿ K¨vWviiv QvÎjxM †bZv Ave`yi ingvb‡K b„ksmfv‡e nZ¨v, wbixn gvby‡li evwoNi I †`vKvbcv‡U AwMœms‡hvM K‡i|




ভোরের কাগজ-

 XvKvi evB‡i PuvcvBbeveM‡Äi †fvjvnv‡U cywjk, niZvj mg_©K I niZvj we‡ivax‡`i wÎgyLx msN‡l© wbnZ n‡q‡Qb hyejxM †bZv Avãyi iwng| 

সকালের খবর-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি এবং জামায়াত-শিবির কর্মীরা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পোল্লাডাঙ্গা হাটখোলা বাজার এলাকায় মিছিল বের করে। একপর্যায়ে মিছিলকারীরা পোল্লাডাঙ্গা বাজারে ঢুকে আওয়ামী লীগ নেতা আরজেদ আলী ভুট্টু ও তার ভাই চঞ্চলের মোটরসাইকেলসহ দুটি দোকানে আগুন দেয় এবং পাঁচটি দোকান ভাঙচুর করে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ জনসাধারণ তাদের বাধা দিলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় হরতাল সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে উপজেলার পোল্লাডাঙ্গা হাটখোলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী আবদুর রহমানকে (২৬) আহত করে। গুরুতর অবস্থায় ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যায় আবদুর রহমান। এছাড়া সংঘর্ষে আহত হন কমপক্ষে ১৪ জন। এদিকে বাজারের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ফায়ার স্টেশনের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথে ভোলাহাটের মুসরীভুজা এলাকায় পৌঁছলে হরতাল সমর্থকরা তাতেও আগুন দেয়। পুলিশ এসব ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে। এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। 

করতোয়া-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে আব্দুর রহমান (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। নিহত আব্দুর রহমান উপজেলার পোলাডাঙ্গা হাটখোলা গ্রামের দাউদ হোসেনের ছেলে। এঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়িতেও অগি্নসংযোগ করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হরতালের সমর্থনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা পোলাডাঙ্গা হাটখোলা বাজার এলাকায় মিছিল বের করে। এসময় হরতালে দোকান খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্র্মীদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও ইট পাটকেল নিয়ে একে অপরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ৭/৮টি দোকান ও ২ টি মোটরসাইকেলে ভাঙচুর এবং অগি্নসংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর জন্য পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় দুপুরে ভোলাহাটের মুসরীভুজা এলাকায় পৌছলে হরতাল সমর্থকরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সংঘর্ষে আহত স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আব্দুর রহমানকে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেয়ার পথে সে মারা যায়। এ ছাড়াও সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান জানান, সংঘর্ষের পর ১৪ জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশংকায় এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সমকাল-
জেলার ভোলাহাটে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের সংঘর্ষে বৃহস্পতিবার আবদুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত ও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। দাউদ আলীর ছেলে নিহত আবদুর রহমানের বাড়ি ভোলাহাটের পোল্লাডাঙ্গা-হাটখোলা গ্রামে। তিনি ভোলাহাট মহিবুল্লাহ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক। সংঘর্ষ চলাকালে দুটি মোটরসাইকেল, ৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, একটি বাড়িতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও অগি্নসংযোগ করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকরা।
অগি্নসংযোগের খবর পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি রওনা দেয় ঘটনাস্থলে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভোলাহাট উপজেলার মুসরীভুজা এলাকায় জামায়াত শিবির কর্মীরা অগি্ননির্বাপক গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে ফায়ার সাভির্সের ৮ কর্মী আহত হন।
আগুনে ভস্মীভূত হয় অগি্ননির্বাপক গাড়িটি।
ভোলাহাট থানার ওসি শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুসরীভুজা এলাকা থেকে হরতালের সমর্থনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি পোল্লাডাঙ্গা-হাটখোলা বাজার এলাকা অতিক্রমের সময় স্থানীয় দোকানে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুর রহমান নিহত ও উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। তারা বেধড়ক মারধর শেষে ছাত্রলীগ কর্মী আবদুর রহমানকে বাম পাঁজরে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। জামায়াত-শিবির ও বিএনপি এ সময় হামলা, ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করে। পরে মুসরীভুজা এলাকায় দমকল বাহিনীর একটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে অগি্নসংযোগ করে জামায়াত-শিবিরের দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সহকারী পুলিশ সুপার (গোমস্তাপুর সার্কেল) মীর মোহাম্মদ শাফিন মাহমুদ বলেন, বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় এলাকায় পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। র‌্যাবের টহল অব্যাহত রয়েছে। অগি্ননির্বাপক গাড়িতে হামলা ও অগি্নসংযোগের ঘটনায় মুসরীভুজা এলাকা থেকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ওসি জানান, হামলা, ভাংচুর, অগি্নসংযোগসহ ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা এবং অগি্ননির্বাপক গাড়ি পোড়ানোসহ ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের ওপর হামলায় ঘটনায় থানায় পৃথক মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

প্রথম আলো-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: ভোলাহাটের পোল্লাডাঙ্গা বাজারে জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে আবদুর রহমান নিহত হন। এ সময় অন্তত পাঁচটি দোকান ভাঙচুর এবং একটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জামায়াত-বিএনপি বাজারে হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করে। এ সময় দোকান খোলা নিয়ে ওই বাজারের ব্যবসায়ী যুবলীগের কর্মী আবদুর রহমানের সঙ্গে হরতাল-সমর্থকদের বাগিবতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে আবদুর রহমানের সমর্থনে এগিয়ে আসেন আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন কর্মী। তাঁরাও হরতাল-সমর্থকদের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এর পরই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত আবদুর রহমানকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় দোকানপাটে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেওয়া হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের উপসহকারী পরিচালক ওহিদুল ইসলাম জানান, দোকানপাটে আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলের দিকে পাঠানো হয়। পথে মুশরিভূজা এলাকায় ওই ইউনিটে আগুন দেয় হরতাল-সমর্থকেরা।
ভোলাহাট উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ জানান, বিএনপি-জামায়াতের কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে আবদুর রহমান নিহত হন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়াসমিন আক্তার জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) মোতায়েন করা হয়েছে।

মানব কণ্ঠ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আব্দুর রহমান (২৬) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে ৭-৮টি দোকান ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও
   অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া আগুন নেভাতে যাওয়ার সময় দমকল বাহিনীর একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পিকেটাররা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
ভোলাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ সোহরাওয়ার্দী জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় হরতালের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা পোলাডাঙ্গা হাটখোলা বাজার এলাকায় মিছিল বের করে। এ সময় হরতালে দোকান খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। সংঘর্ষে আহত স্থানীয় যুবলীগ কর্মী আব্দুর রহমানকে ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুর রহমান পোলাডাঙ্গা এলাকার দাউদ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত
    হয়। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে ৭-৮টি দোকান ও ২টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। আগুন নেভানোর জন্য দুপুরে পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে দমকল বাহিনীর একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যাওয়ার সময় ভোলাহাটের মুসরীভুজা এলাকায় পৌঁছলে হরতাল সমর্থকরা তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব ঘটনায় ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাশকতা এড়াতে এলাকায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।’


সংবাদ-
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে গতকাল জামায়াত-বিএনপি ও আ'লীগ কর্মীদের সংঘর্ষে এক যুবলীগ কর্মী নিহত, ৫ জন আহতসহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদ সোহরাওয়ার্দী জানান, গতকাল ভোলাহাট উপজেলায় সকাল সাড়ে ১০টায় হরতালের সমর্থনে জামায়াত-বিএনপি'র কর্মীরা মিছিল করার সময় স্থানীয় পোল্লাডাঙ্গা বাজারে আলীগ নেতা আরজেদ আলী ভুটু ও তার ভাই চঞ্চলের মোটরসাইকেলসহ ২টি দোকানে আগুন এবং ৫টি দোকান ভাঙচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে পোলাডাঙ্গা হাজীপাড়া গ্রামের দাউদ আলীর ছেলে আবদুর রহমানকে (২৬) জামায়াত-বিএনপির কর্মীরা হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে ভোলাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াসমিন আক্তার, এএসপি (সার্কেল), থানা অফিসার ইনচার্জ শহীদ সোহরাওয়ার্দী অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ এ ঘটনায় ৪ জনকে আটক করেছে।

আগুনের খবর পেয়ে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ফায়ার সার্ভিসের ৮ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসার সময় দুপুর ১টার সময় মূশরীভূজা বাজারের কাছে হরতাল সমর্থকরা গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে যায় । এ সময় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। রহনপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ওসি আবুল হোসেন গাড়ি পোড়ানোর কথা স্বীকার করেন।


 

 
Flag Counter
পাঠকের সবধরনের মত তুলে ধরতে চাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ । যে কোন বিষয় নিয়ে আপনিও লিখুন আর পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে. সাথে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা ,আপনার একটি ছবি পাঠাতে ভুলবেন না।আপনার লেখা বা ছবি আমাদের ইমেল করুন chapainawabganjnews@yahoo.com