গনসচেতনতা সৃষ্টিতে অধ্যাপক তরিকুল আলমের নিরলস পরিশ্রম

শফিকুল ইসলাম,শিবগঞ্জ প্রতিনিধি: অধ্যাপক তরিকুল আলম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অধিকার আদায়ে গনসচেতনতা সৃষ্টির ল্েয ৩৫ব্ছর ধরেই মুক্তিযোদ্ধা সহ সমাজের হতভাগা অসহায় ব্যক্তিদের পথের দিশারী হিসাবে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নাধীন অজোপাড়া পারচৌকা গ্রামে জন্ম গ্রহন কারী ও বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরিকুল  আলম ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগের আমলে নারীর মতায়নে শেখ হাসিনার পদেেপর সংবাদ পাঠ করে তিনি  প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নারীর মতায়নের প্রয়োজনীয়তা অনুভর করে তার স্ত্রী মানজুরা বেগমকে ইউপি নির্বাচনে অংশ গ্রহন করিয়ে
বিপুল ভোটে বিজয়ী করে নারী সমাজের সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
২০০০সালে পত্রিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যয়নে প্রধান মন্ত্রীর ভূমিকা শিরোনামে সংবাদ পড়ে মনাকষা মোড় হতে সাহাপাড়া াবাজার পর্যন্ত রাস্তা পাঁকা করন ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সম্মলিত স্মৃতি ফলক স্থাপন পূর্বক শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামনুসারে রাস্তার নাম করনের জন্য  তিনি ইউপি সদস্যা মানজুরার মাধ্যমে ৭৭জন বীর   মুক্তিযোদ্ধাদের স্বারিত একটি আবেদন প্রধান মন্ত্রী বরাবর পাঠালে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পদপে গ্রহন করলেও মতার পট পরিবর্তন হওয়ায় তা ভেস্তে যায়। তাই তিনি আবারো সা¤প্রতিক কালে আবেদন করান।
২০০০সালে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরীর করার সময় রাস্তার ধারে বড় বড় গাছদেখে অনুপ্রানিত হয়ে গাছ লাগার মালিক শ্রী কার্তিক নাপিতকে নিয়ে ইত্তেফাক পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন পাঠিয়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি অবাারো ২০০২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে দৈনিক  প্রথম আলোয় পত্রিকায় পাঠালে ৬ অক্টোবর চরাঞ্চলকে সবুজে সুশোভিত করা যার স্বপ্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশব্যাপী আড়োলন সৃষ্টি হয় এবং  ২০০৪সালে আবারো  বিশাল বিশাল বৃ যেন এক একটি কার্তিক নামা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় ২০০৬ সালে চ্যানেল আইয়ের মাধ্যমে সেই কার্তিক কৃষি পদক লাভ করে দেশ ব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন । তবে দুঃখজনক হলেও সত্যিযে কার্তিক তার অবদানের কথা অস্বীকার করাই এলাকায় তীব্র ােভের সঞ্চার হয়।

চর এলাকার তারাপুর গ্রামের ২০ বছর যাবত ১ম থেকে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা টাকায় শিাদান করানো পল্লী চিকিৎক আঃ রশিদ মাস্টারকে অনুপ্রানীত করতে ও শিা বিস্তারে সর্ব স্তরের মানুষের ও প্রাশনের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য প্রায় ১৫টি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশে তিনি নিরলস পরিশ্রম করেন।
গত ২৮ ফেব্রায়ারীতে মানবতা বিরোধী মামলায় দেলয়ার হোসেন সাইদীর ফ$াসিঁর রায় ঘোষনায় জামায়াত শিবির কানসাট পল্লী দ্রি্যুত ভবন পুড়ানোর ফলে কৃষক সমাজের অপূরনীয় তি ও জামায়াত শিবিরের রাষ্ট্রদ্রোহী কাজেসমর্থন না জানাতে  তিনি গনসচেতনতার সৃষ্টির জন্য মনাকষা ও বিনোদপুরের বিভিন্ন স্থানে কৃষক সমাবেশ করেন নিজ খরচে।
২০১২সালে ৩১জুলাই ইত্তেফাকে সোনালী ব্যাংক কর্তৃক শিাবৃত্তির বিজ্ঞতি হলে তিনি প্রায় ৫০জন এস,এসসি ও এইচ এস এসসি পাশ ছাত্র-ছাত্রীকে নিজ খরচে আবেদন করালে শুধুু শিবগঞ্জের ১৭ জন ১২হাজার টাকা করে শিাবৃত্তি লাভ করে, যা তাদের পরবর্তী শিাঅর্জনে সহায়ক হয়।
একই বছরে ২৪ সেপ্টেম্বর দৈনিক ইত্তেফাকে জনতা ব্যাংক পঙ্গু ও গরীব মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য দেয়ার বিজ্ঞপ্তি দিলে তিনি প্রায় ৫০ জন হতভাগা মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ খরচে আবেদন করান, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন আছে।
শুধুু তাই নয় তিনি সংবাদপত্র থেকে থেকে শিা লাভ করে বাল্য বিয়ে রোধ, মাদক মুক্ত সমাজ গঠন, কোচিং সেন্টার বন্ধ সহ  নানা ধরনের সমাজ কল্যান মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। সংগে সংগে তিনি বাঙ্গালীর ঐতিহ্য রার্থে সব সময় একটি গামছা ব্যবহার করেন। গামছা ব্যবহার সম্পর্কে তিনি বলেন আমি কৃষকের ছেলে, কৃষি প্রধান আমাদের বাংলাদেশ আর গামছায় কৃষকের অন্যতম উপকরন। তাই কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাতে আমি গামছা ব্যবহার করছি এবং মৃত্যুর আগা পর্যন্ত ব্যবহার করবো ইনশাল্লাহ। এ বাপারে শিাবৃত্তি প্রাপ্ত জসিম, মুক্তিযোদ্ধা আনেসুর, সাবেক ছাত্র নেতা ফাইজুদ্দীন, শিক সহ আরো অনেকে ই বলেন তরিকুল স্যার না থাকলে আমরা অনেকটা অন্ধকারেই থাকতাম।       
Flag Counter
পাঠকের সবধরনের মত তুলে ধরতে চাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিউজ । যে কোন বিষয় নিয়ে আপনিও লিখুন আর পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে. সাথে আপনার যোগাযোগের ঠিকানা ,আপনার একটি ছবি পাঠাতে ভুলবেন না।আপনার লেখা বা ছবি আমাদের ইমেল করুন chapainawabganjnews@yahoo.com