চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে প্রমোশন অফ ওয়াটার সাপ্লাই, স্যানিটেশন এ্যান্ড হাইজিন ইন হার্ড টু রিচ এরিয়াস অফ রুরাল বাংলাদেশ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ এগিয়ে চলেছে।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)’র অর্থায়নে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ রাজশাহীর সহযোগি সংস্থা হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন সংস্থা এগ্রিকালচার সাসটেইনেবল এন্ড সোসিয় ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসেডো)।
এই চারটি ইউনিয়নে বাস্তবায়ীত ও বাস্তবায়নাধিন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ইকো-সান টয়লেট স্থাপন, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত গ্রামীণ স্যানিটেশন কেন্দ্র পরিচালনা, পাইপ লাইন ওয়াটার সাপ্লাই ও এ্যাকুইফার রিচার্জ কার্যক্রম।
শনিবার নেজামপুর ইউনিয়নের ঝিনাইপুকুর গ্রামে দেখা গেছে, ইকোসান টয়লেট এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যেখানে সূর্যের আলো সবসময় পাওয়া যায়। মল হতে জৈব সারে রূপান্তরিত হতে সময় লাগে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর। ইকোসান টয়লেট নির্মাণের খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। ৮ থেকে ১০ জনের ১টি পরিবার ১ টি কক্ষ বিশিষ্ট এই টয়লেট ৬ মাস ব্যবহার করতে পারবে এবং একটি কক্ষ ভর্তি হলে অপর কক্ষটি ব্যবহার করতে পারবে। গ্রামটিতে ইকোসান টয়লেট স্থাপনের ফলে অন্যান্য এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সবার কাছে ঝিনাইপুকুর গ্রামটি এখন ইকোভিলেজ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া এই টয়লেট ব্যবহার করে মুত্র থেকে যে সার উৎপন্ন হয় তা দিয়ে ইউরিয়া সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঝিনাইপুকুর গ্রামের ইকোসান টয়লেট ব্যবহারকারী মজিবুর রহমান জানান, গত দু’বছর আগে তার বাড়ির পাশে একটি ইকোসান টয়লেট স্থাপন করে দেয় এসেডো। এই টয়লেটের মল থেকে যে সার তৈরী হয় তা জমিতে ব্যবহার করে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীট নাশক ছাড়ই তিনি প্রায় দ্বিগুন গম উৎপাদন করেছেন এবং মুত্র থেকে ইউরিয়া সার তৈরী করে শাখ সব্িজ ক্ষেতে ব্যবহার করে ভাল ফল পাচ্ছেন। এই টয়লেট ব্যবহার করে একদিকে যেমন স্বাস্থ সম্মত পায়খানার ঘাটতি পুরন হয়েছে অন্যদিকে মলমুত্র থেকে উৎপাদিত জৈব সার জমিতে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদনও বেশি পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, এই টয়লেট অত্যন্ত স্বাস্থ্য সম্মত। আগে এই গ্রামে কোন স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ছিলনা ফলে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই হত। এই টয়লেট ব্যবহারের ফলে এখন আর পানিবাহিত রোগবালাই হয়না।
এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ রাজশাহীর ফেসিলেটেটর সাদিক জাহান শিশির জানান, নেজামপুর ও কসবা ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ১৩টি ইকোসান টয়লেট স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য ৭টি পায়খানা তৈরী করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে ২৬ পয়েন্ট বিশিষ্ট ৩০ফুট উচ্চতার আর সি সি ওভারহেড ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫১ টি পরিবার। খরচ ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবং উপকারভোগিরা দিয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। বাকী টাকা প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হয়েছে।
শিশির জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলাটি বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। এলাকাটি অত্যন্ত উঁচু। ফলে খরা মৌসুমে পানির স্তর ভয়াবহহারে নিচে নেমে যায়। এ দিকটা বিবেচনা করে এই প্রকল্পের আওতায় নাচোল সদর ইউনিয়নের গনইর গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে ও ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে এ্যাকুইফার রিচাজ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কোঅপারেশন (এসডিসি)’র অর্থায়নে এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ রাজশাহীর সহযোগি সংস্থা হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে উন্নয়ন সংস্থা এগ্রিকালচার সাসটেইনেবল এন্ড সোসিয় ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসেডো)।
এই চারটি ইউনিয়নে বাস্তবায়ীত ও বাস্তবায়নাধিন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ইকো-সান টয়লেট স্থাপন, ব্যক্তি উদ্যোগে পরিচালিত গ্রামীণ স্যানিটেশন কেন্দ্র পরিচালনা, পাইপ লাইন ওয়াটার সাপ্লাই ও এ্যাকুইফার রিচার্জ কার্যক্রম।
শনিবার নেজামপুর ইউনিয়নের ঝিনাইপুকুর গ্রামে দেখা গেছে, ইকোসান টয়লেট এমনভাবে তৈরী করা হয়েছে যেখানে সূর্যের আলো সবসময় পাওয়া যায়। মল হতে জৈব সারে রূপান্তরিত হতে সময় লাগে প্রায় ৬ মাস থেকে ১ বছর। ইকোসান টয়লেট নির্মাণের খরচ হয় ১৭ হাজার টাকা। ৮ থেকে ১০ জনের ১টি পরিবার ১ টি কক্ষ বিশিষ্ট এই টয়লেট ৬ মাস ব্যবহার করতে পারবে এবং একটি কক্ষ ভর্তি হলে অপর কক্ষটি ব্যবহার করতে পারবে। গ্রামটিতে ইকোসান টয়লেট স্থাপনের ফলে অন্যান্য এলাকার জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সবার কাছে ঝিনাইপুকুর গ্রামটি এখন ইকোভিলেজ নামে পরিচিতি পেয়েছে। এ ছাড়া এই টয়লেট ব্যবহার করে মুত্র থেকে যে সার উৎপন্ন হয় তা দিয়ে ইউরিয়া সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ঝিনাইপুকুর গ্রামের ইকোসান টয়লেট ব্যবহারকারী মজিবুর রহমান জানান, গত দু’বছর আগে তার বাড়ির পাশে একটি ইকোসান টয়লেট স্থাপন করে দেয় এসেডো। এই টয়লেটের মল থেকে যে সার তৈরী হয় তা জমিতে ব্যবহার করে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কীট নাশক ছাড়ই তিনি প্রায় দ্বিগুন গম উৎপাদন করেছেন এবং মুত্র থেকে ইউরিয়া সার তৈরী করে শাখ সব্িজ ক্ষেতে ব্যবহার করে ভাল ফল পাচ্ছেন। এই টয়লেট ব্যবহার করে একদিকে যেমন স্বাস্থ সম্মত পায়খানার ঘাটতি পুরন হয়েছে অন্যদিকে মলমুত্র থেকে উৎপাদিত জৈব সার জমিতে ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদনও বেশি পাচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, এই টয়লেট অত্যন্ত স্বাস্থ্য সম্মত। আগে এই গ্রামে কোন স্বাস্থ্য সম্মত টয়লেট ছিলনা ফলে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ বালাই হত। এই টয়লেট ব্যবহারের ফলে এখন আর পানিবাহিত রোগবালাই হয়না।
এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেল্থ রাজশাহীর ফেসিলেটেটর সাদিক জাহান শিশির জানান, নেজামপুর ও কসবা ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত ১৩টি ইকোসান টয়লেট স্থাপন করে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধীদের জন্য ৭টি পায়খানা তৈরী করে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের গোলাবাড়ি গ্রামে ২৬ পয়েন্ট বিশিষ্ট ৩০ফুট উচ্চতার আর সি সি ওভারহেড ট্যাংক স্থাপন করা হয়েছে। উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫১ টি পরিবার। খরচ ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদ দিয়েছে ৫০ হাজার টাকা এবং উপকারভোগিরা দিয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। বাকী টাকা প্রকল্প থেকে ব্যয় করা হয়েছে।
শিশির জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলাটি বরেন্দ্র এলাকা হিসেবে পরিচিত। এলাকাটি অত্যন্ত উঁচু। ফলে খরা মৌসুমে পানির স্তর ভয়াবহহারে নিচে নেমে যায়। এ দিকটা বিবেচনা করে এই প্রকল্পের আওতায় নাচোল সদর ইউনিয়নের গনইর গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে ও ফতেপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে এ্যাকুইফার রিচাজ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
0 comments :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন