
দোকানে দোকানে ‘টাকা’ তোলার ঘটনা নতুন নয়। সা¤প্রতিক বছরগুলোয় প্রায়শই চোখে পড়ে হাতি দিয়ে টাকা তোলার দৃশ্য। তবে, যেটা সাধারণতঃ চোখে পড়েনা তাহলো মাহুত (চালক) এর পায়ের কারসাজি। টাকা তোলার সময় পায়ের ইশারায় হাতিকে দিয়ে করা হয় নানান কাণ্ড। মঙ্গলবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের পথ ধরে শিবতলা আরামবাগ এলাকায় হাতিকে দিয়ে ঘটানো হয়েছে অনেক ঘটনা। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটিতে চলা গ্রামীণ মেলার সার্কাস দলের এই হাতি নিয়ে বের হওয়া এর ‘মাহুত’ই সবকাণ্ডের নায়ক। সড়ক ধারের দোকানে গিয়ে প্রথমে অদ্ভুত আচরণ করা হয়। দোকান মালিক ‘টাকা’ দিতে দেরী করলে হাতিটি তার শুঁড় দিয়ে দোকানের চাল বা খুটি ধরে নাড়াও দেয়ার ভান করে। একবার ভেবে দেখুন, শুঁড় দিয়ে হাতি চাল বা খুটিতে নাড়া নাই দিক। খুটি ধরলেই তো দোকানদারের অবস্থা..........। আবার দু’ টাকা পাঁচ টাকা দিলে হাতি সে টাকা ধরেও না। দশ টাকা বা তার উর্ধে দিলে শুড় দিয়ে ধরে তা অনায়েশেই চালান করে দেয় মাহুতের হাতে। কেউ বেশী টাকা দিলে ওই টাকা মাহুতকে দেয়ার পর তাৎণিক সুন্দর শব্দ করে সালাম পর্যন্ত দেয়। তাহলে হাতি কি টাকা নোট চেনে? আরামবাগের ফার্নিচার ব্যবসায়ী আখতারুল ইসলাম নিপু বললেন, ‘হাতির তো টাকার নোটের অংক চেনার কথা নয়। চালকের পায়ের ইশারা বুঝেই হাতিটি এসব করছে। আসলে মাহুতের পা ব্রেকের কারসাজিতেই হচ্ছে এ সব’। আর হাতির মাহুত আব্দুস সালাম জানালেন, গ্রামে গঞ্জে ঘুরে বেশ ভাল টাকাই পাওয়া যায়’।
0 comments :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন