মানব পাচার একটি জঘন্যতম অপরাধ। পাচার হল মানুষের অমানবাকি আচরনের একটি নির্মম দিক। আর পাচারের সবচেয়ে প্রচলিত ধরন হল নারী ও শিশু পাচার। বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৫ ও ৬ ধারা অনুযায়ী কোন নারী বা শিশুকে যদি কেউ কোন বেআইনি বা নীতি বহির্ভুত কাজে ব্যবহারের জন্য দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা বিদেশ থেকে নিয়ে আসে বা বিদেশে নিয়ে যায়, বা ক্রয় বিক্রয় করে বা এ রকম কোন বেআইনি কাজ করার জন্য নিজের দখলে রাখে, তবে তাকে নারী বা শিশু পাচার বলে আায়িত করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর থেকে প্রকাশিত ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক নারী ও শিশু পাচার বিষয়ক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মানুষ পাচারের ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এমনকি বর্তমানে বাংলাদেশ নারী ও শিশু পাচারের প্রধান উৎস ও ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় একটি রেস্তোরায় পার্টনার আয়োজিত নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ে “কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মশালা” অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে এসব কথা জানানো হয়। পার্টনারের নির্বাহী পরিচালক জনবা আব্দুস সোবহান মিয়া’র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আনসার ও ভিডিপি’র সম্মানিত ডিডি জনাব এ.কে.এম খাদেমুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক প্রফেসর ইলিয়াস হোসেন, শিকিা জিন্নাতুল ইসলাম, তাহমিনা নাজনীর প্রমুখ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকিা জিন্নাতুল ইসলাম পেশকৃত উক্ত কর্মশালার মূল প্রবন্ধে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার নারী ও কিশোরী ভারত, পাকিস্তান, বাহরাইন, কুয়েত ও আরব আমিরাতে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ব্যাপক সংখ্যক বালক ও কিশোরকে উটের জকি বা ভিুক হিসেবে কাজ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাচার করা হচ্ছে। এত সংখ্যক নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী পাচারের ঘটনার ঘটছে ভারত ও পাকিস্তানের মত দেশের রুপ পয়েন্ট ব্যবহার করে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভারত, বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ভারত ও পাকিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য এই যোগাযোগ মাধ্যমকে দণি এশিয়ার পাচারের রুট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজাশাহী, নবাবগঞ্জ, জয়পুর হাট, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, ব্রাণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, যশোর, সাতীরা ও ঢাকা অঞ্চল দিয়ে ভারতে পশ্চিম বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশী নারী-শিশু।
আমাদের দেশের প্রোপট অনুযায়ী পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র ও কর্মসংস্থানের অভাব, ভূমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়নের অভাব, পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, বহু বিবাহ, অর্থনৈতিকভাবে নারী ও শিশুর দুর্বল অবস্থান, দাস শ্রম ও বাধ্যতামূলক শ্রমের চাহিদা, বাসা বাড়িতে শিশু শ্রমের চাহিদা, যৌন কর্মী নারী ও শিশুর প্রবৃত্ত করণ এবং কিশোরদেরকে শিশু শ্রম ও জকি হিসেবে কাজে লাগানোকে নারী ও শিশু পাচারের প্রধান প্রাধান কাণর হিসেবে উঠে এসেছে উক্ত কর্মশালার মূল প্রবন্ধে। এদিকে বাংলাদেশে নারী ও শিশু পাচারের চিত্র তুলে ধরে প্রফেসর আব্দুস সোবহান মিয়া বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বে নারী-শিশু পারের চিত্র অত্যান্ত ভয়াবহ। বছরে প্রায় এক থেকে দুই মিলিয়ন নারী শিশু পাচার হয়ে থাকে। পাচারের অন্যতম কারন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে মানুষের অতি উন্নতি প্রত্যাশার কারনে পাচারের ঘটনা ঘটে থাকছে। আর এর সাথে বড় একটি চেইন ওয়ার্ক ও বব্যসা জড়িত। তিনি জানান, ভারতের একটি চক্র আছে যারা পাচারকৃত আটক নারী-পুরুষ বা শিশুকে জামিনে বের করে আনে এবং তদের অধিনস্থ করে রাখে, পরে সুযোগ বুঝে অন্যত্র পাচার করে দেয়। মালয়েশিয়ার উধাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া যেমন উন্নত ঠিক তেমনই চালাক একটি দেশ। তাদের দেশে প্রচুর পাঁচ তারকা হোটেল রয়েছে আর সেখান পতিতাবৃত্তির জন্য অন্য দেশ থেকে পাচার করে আনা হচ্ছে নারী ও কিশোরী। এতে কোন আপত্তি নেই মালয়েশিয়ান সরকারের কিন্তু তারা সম্পুর্ণ সজাগ তাদের দেশের ব্যাপারে। তাদের দেশীয় কোন নারী শিশু যেন পাচার হতে না পারে যেদিকে তারা অত্যন্ত তৎপর ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও বলেন, এই পাচারের সাথে বড় একটি মেডিক্যেল টিমও যুক্ত রয়েছে। বড় বড় কিনিকের বড় বড় ডাক্তাররা বিশেষ করে শিশুদের কিডনি, চোখ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ,প্রত্যঙ্গ অপারেশনের মাধ্যমে বের করে বিক্রে করছে এবং শিশুকে বিকলাঙ্গ বানিয়ে জোর পূর্বক ভিা পেশায় নিয়োজিত করছে। পাচারকৃত বা পাচারের সময় উদ্ধরকৃত নারী শিশুদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা হয়তো নিজের অজান্তেই পাচারের শিকার হেয়ে গেছে কিন্তু উদ্ধার হবার পরে এদের জীবনে নেমে আসে অন্য এক জ্বালা। উদ্ধারকৃত নারীদের কেউ আর সমাজে আগের মত মেনে নিতে পারে না, তাদের কোন কাজ দিতে চায় না এবং উদ্ধারকৃত শিশুদের সাথে তার খেলার সাথীরা খেলতে চায় না, স্কুলের সহপাঠীরা পাশে বসতে চায় না। হঠাৎই যেন তাদের জীবন পাল্টে যেতে থাকে। এদের পূনর্বাশনে বিভিন্ন এন.জি.ও’র চাইল্ড ফোরামের মধ্যে শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য তিনি বিশেষ আহবান জানান।
কর্মশালার অন্য অংশে এক মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহনকারীরা আইনের যথাযথ প্রয়োগ, কর্মসংস্থান ও নারীশিা বৃদ্ধি, গণ সচেতনতা বৃদ্ধি, মনুষ্যত্বর উন্নয়ন, পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্তকরন, বিজিবি’দের যথাযথ নির্দেশ প্রদান ও তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ভূমিকা নারী ও শিশু পাচার অনেকআংশে কমিয়ে আনতে পারে বলে উল্লেখ করেন।
রাজশাহী মহানগরীর স্থানীয় একটি রেস্তোরায় পার্টনার আয়োজিত নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধে করনীয় বিষয়ে “কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কর্মশালা” অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধে এসব কথা জানানো হয়। পার্টনারের নির্বাহী পরিচালক জনবা আব্দুস সোবহান মিয়া’র সভাপতিত্বে উক্ত কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন আনসার ও ভিডিপি’র সম্মানিত ডিডি জনাব এ.কে.এম খাদেমুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক প্রফেসর ইলিয়াস হোসেন, শিকিা জিন্নাতুল ইসলাম, তাহমিনা নাজনীর প্রমুখ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকিা জিন্নাতুল ইসলাম পেশকৃত উক্ত কর্মশালার মূল প্রবন্ধে জানানো হয় যে, বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১০ থেকে ২০ হাজার নারী ও কিশোরী ভারত, পাকিস্তান, বাহরাইন, কুয়েত ও আরব আমিরাতে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ব্যাপক সংখ্যক বালক ও কিশোরকে উটের জকি বা ভিুক হিসেবে কাজ করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যে পাচার করা হচ্ছে। এত সংখ্যক নারী, শিশু ও কিশোর-কিশোরী পাচারের ঘটনার ঘটছে ভারত ও পাকিস্তানের মত দেশের রুপ পয়েন্ট ব্যবহার করে। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি ভারত, বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে পাকিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ভারত ও পাকিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য এই যোগাযোগ মাধ্যমকে দণি এশিয়ার পাচারের রুট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজাশাহী, নবাবগঞ্জ, জয়পুর হাট, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, ব্রাণবাড়িয়া, কুষ্টিয়া, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, যশোর, সাতীরা ও ঢাকা অঞ্চল দিয়ে ভারতে পশ্চিম বাংলা, আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যে পাচার হচ্ছে বাংলাদেশী নারী-শিশু।
আমাদের দেশের প্রোপট অনুযায়ী পল্লী অঞ্চলে দারিদ্র ও কর্মসংস্থানের অভাব, ভূমিহীনের সংখ্যা বৃদ্ধি, শিল্পায়নের অভাব, পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ, যৌতুক, বহু বিবাহ, অর্থনৈতিকভাবে নারী ও শিশুর দুর্বল অবস্থান, দাস শ্রম ও বাধ্যতামূলক শ্রমের চাহিদা, বাসা বাড়িতে শিশু শ্রমের চাহিদা, যৌন কর্মী নারী ও শিশুর প্রবৃত্ত করণ এবং কিশোরদেরকে শিশু শ্রম ও জকি হিসেবে কাজে লাগানোকে নারী ও শিশু পাচারের প্রধান প্রাধান কাণর হিসেবে উঠে এসেছে উক্ত কর্মশালার মূল প্রবন্ধে। এদিকে বাংলাদেশে নারী ও শিশু পাচারের চিত্র তুলে ধরে প্রফেসর আব্দুস সোবহান মিয়া বলেন, শুধু বাংলাদেশেই নয় সারা বিশ্বে নারী-শিশু পারের চিত্র অত্যান্ত ভয়াবহ। বছরে প্রায় এক থেকে দুই মিলিয়ন নারী শিশু পাচার হয়ে থাকে। পাচারের অন্যতম কারন হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে মানুষের অতি উন্নতি প্রত্যাশার কারনে পাচারের ঘটনা ঘটে থাকছে। আর এর সাথে বড় একটি চেইন ওয়ার্ক ও বব্যসা জড়িত। তিনি জানান, ভারতের একটি চক্র আছে যারা পাচারকৃত আটক নারী-পুরুষ বা শিশুকে জামিনে বের করে আনে এবং তদের অধিনস্থ করে রাখে, পরে সুযোগ বুঝে অন্যত্র পাচার করে দেয়। মালয়েশিয়ার উধাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মালয়েশিয়া যেমন উন্নত ঠিক তেমনই চালাক একটি দেশ। তাদের দেশে প্রচুর পাঁচ তারকা হোটেল রয়েছে আর সেখান পতিতাবৃত্তির জন্য অন্য দেশ থেকে পাচার করে আনা হচ্ছে নারী ও কিশোরী। এতে কোন আপত্তি নেই মালয়েশিয়ান সরকারের কিন্তু তারা সম্পুর্ণ সজাগ তাদের দেশের ব্যাপারে। তাদের দেশীয় কোন নারী শিশু যেন পাচার হতে না পারে যেদিকে তারা অত্যন্ত তৎপর ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও বলেন, এই পাচারের সাথে বড় একটি মেডিক্যেল টিমও যুক্ত রয়েছে। বড় বড় কিনিকের বড় বড় ডাক্তাররা বিশেষ করে শিশুদের কিডনি, চোখ সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ,প্রত্যঙ্গ অপারেশনের মাধ্যমে বের করে বিক্রে করছে এবং শিশুকে বিকলাঙ্গ বানিয়ে জোর পূর্বক ভিা পেশায় নিয়োজিত করছে। পাচারকৃত বা পাচারের সময় উদ্ধরকৃত নারী শিশুদের সম্পর্কে তিনি বলেন, এরা হয়তো নিজের অজান্তেই পাচারের শিকার হেয়ে গেছে কিন্তু উদ্ধার হবার পরে এদের জীবনে নেমে আসে অন্য এক জ্বালা। উদ্ধারকৃত নারীদের কেউ আর সমাজে আগের মত মেনে নিতে পারে না, তাদের কোন কাজ দিতে চায় না এবং উদ্ধারকৃত শিশুদের সাথে তার খেলার সাথীরা খেলতে চায় না, স্কুলের সহপাঠীরা পাশে বসতে চায় না। হঠাৎই যেন তাদের জীবন পাল্টে যেতে থাকে। এদের পূনর্বাশনে বিভিন্ন এন.জি.ও’র চাইল্ড ফোরামের মধ্যে শিশুদের সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য তিনি বিশেষ আহবান জানান।
কর্মশালার অন্য অংশে এক মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহনকারীরা আইনের যথাযথ প্রয়োগ, কর্মসংস্থান ও নারীশিা বৃদ্ধি, গণ সচেতনতা বৃদ্ধি, মনুষ্যত্বর উন্নয়ন, পুলিশ প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাব মুক্তকরন, বিজিবি’দের যথাযথ নির্দেশ প্রদান ও তাদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট ভূমিকা নারী ও শিশু পাচার অনেকআংশে কমিয়ে আনতে পারে বলে উল্লেখ করেন।