প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মাত্র আমরা চার বছর পূর্ণ করলাম। চার বছর
পূর্তির পর আমাদের এটি প্রথম জনসভা। আজকে আমি কথা দিয়ে গেলাম— আগামী সংসদ
নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। বর্তমান সরকারের সময়ে ইউনিয়ন,
উপজেলা, পৌরসভা নির্বাচন এবং উপনির্বাচন হয়েছে। একটা নির্বাচনেও কোনো রকম
অভিযোগ আসেনি। প্রত্যেকটা নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। কারণ আমরা
জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিং এস্টেট মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী জেলার কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই ছেলেকে পড়ালেখা শেখাবেন বলে সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। আপনারা জিজ্ঞেস করেন, কি ডিগ্রি এনেছেন? এনেছেন মানি লন্ডারিংয়ের ডিগ্রি, দুর্নীতির ডিগ্রি। উনি এই ডিগ্রি এনে দিয়েছেন ছেলেদের। তিনি বলেন, অবশ্য উনার কষ্টটা আমরা বুঝি। উনি (খালেদা জিয়া) মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্দু, অংক আর বাংলা—তিন বিষয়ে পাস করেছিলেন। আর কোনো বিষয়ে পাস করেননি। তাই মাধ্যমিকে নিজে ফেল করে উনি বোধহয় চিন্তা করেন, আমি যেহেতু পাস করিনি বাংলার ছেলেমেয়েরা কীভাবে পাস করবে। সেইজন্যই ছেলেমেয়েরা পাস করুক তা উনি চান না।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনাম সেলিম। সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ প্রমুখ জনসভায় বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, লুটপাট আর মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারে ব্যস্ত ছিল। ২০০১ সালে চালের দাম ১০ টাকা রেখে গিয়েছিলাম। তারা সেই চাল ৩৮-৪০ টাকায় নিয়ে যায়। আর নৌকায় ভোট দিলেই বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকে। আমরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭১ এ যারা মানুষ হত্যা করেছে, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার শুরু হয়েছে। আজকের জনসভায় থেকে আপনারা হাত তুলে সেই বিচারের প্রতি যেই সমর্থন দিয়েছেন। সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
আগামী নির্বাচনের জন্য ভোট প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব কিছুই করে দেব। কিন্তু আগামী নির্বাচনে আপনাদের কাছে একটাই আবেদন—নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আরেকবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনারা আমাকে হাত তুলে ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন কি না। এ সময় জনসভায় উপস্থিত জনতা হাত উঠিয়ে সাড়া দেন।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর বিষয়ে আমার কাছে দাবি করার কিছু নেই। দাবি করার আগেই আমরা অনেক কিছু করেছি। নোয়াখালীতে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলব। এরই মধ্যে আমি জেলা প্রশাসকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থনৈতিক জোনের জায়গা ঠিক করার জন্য। এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে বেকার সমস্যার সমাধান করব। এছাড়া নোয়াখালীর জলাবদ্ধতাসহ সব সমস্যা আমরা পর্যায়ক্রমে সমাধান করব।
সরকার গ্যাসের উত্পাদন বাড়াতে সচেষ্ট: আজ দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুরে সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাপেক্সকে শক্তিশালী করে। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্পাদন বাড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সরকারের সময়ে বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে এমন প্রচারণা চালিয়ে বিদেশিদের কাছে গ্যাস বিক্রির চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা তখন বলেছিলাম আগে গ্যাসের মজুদ নির্ধারণ করতে হবে।
ফলক উন্মোচন এবং সুইচ টিপে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গ্যাস ক্ষেত্রের উদ্বোধন এবং জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে যাত্রা শুরু এই গ্যাস ক্ষেত্রটি দেশের ২৪ নম্বর গ্যাস ক্ষেত্র। এই প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হয় ৬০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
খালি খালি নোয়াখালী বলব না: প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শুরুতেই জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, খালি খালি নোয়াখালী বলব না। এবার থেকে ভরা ভরা নোয়াখালী বলব। আমি আজ আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। আজ সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের উদ্বোধন করলাম। এই গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস যখন জাতীয় গ্রিডে যাবে। আর এই গ্যাস দিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। এখানে এই গ্যাস ব্যবহার হবে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছি। তিনি বলেন, আগামীতে নোয়াখালীর দুঃখ, নোয়াখালী খাল পুনঃখনন করা হবে। বিগত নির্বাচনে নোয়াখালী-বাসী আমাদের দুটি সিট উপহার দিয়েছে সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।
প্রধানমন্ত্রী আজ মঙ্গলবার বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদী হাউজিং এস্টেট মাঠে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভার প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে প্রধানমন্ত্রী জেলার কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুই ছেলেকে পড়ালেখা শেখাবেন বলে সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন বিএনপি নেত্রী। আপনারা জিজ্ঞেস করেন, কি ডিগ্রি এনেছেন? এনেছেন মানি লন্ডারিংয়ের ডিগ্রি, দুর্নীতির ডিগ্রি। উনি এই ডিগ্রি এনে দিয়েছেন ছেলেদের। তিনি বলেন, অবশ্য উনার কষ্টটা আমরা বুঝি। উনি (খালেদা জিয়া) মাধ্যমিক পরীক্ষায় উর্দু, অংক আর বাংলা—তিন বিষয়ে পাস করেছিলেন। আর কোনো বিষয়ে পাস করেননি। তাই মাধ্যমিকে নিজে ফেল করে উনি বোধহয় চিন্তা করেন, আমি যেহেতু পাস করিনি বাংলার ছেলেমেয়েরা কীভাবে পাস করবে। সেইজন্যই ছেলেমেয়েরা পাস করুক তা উনি চান না।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনাম সেলিম। সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, রেলমন্ত্রী মজিবুল হক, পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন, প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুত্ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ প্রমুখ জনসভায় বক্তব্য দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ, লুটপাট আর মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারে ব্যস্ত ছিল। ২০০১ সালে চালের দাম ১০ টাকা রেখে গিয়েছিলাম। তারা সেই চাল ৩৮-৪০ টাকায় নিয়ে যায়। আর নৌকায় ভোট দিলেই বাংলাদেশের মানুষ শান্তিতে থাকে। আমরা ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭১ এ যারা মানুষ হত্যা করেছে, নারী ধর্ষণ, লুটতরাজ, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, তাদের বিচার শুরু হয়েছে। আজকের জনসভায় থেকে আপনারা হাত তুলে সেই বিচারের প্রতি যেই সমর্থন দিয়েছেন। সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
আগামী নির্বাচনের জন্য ভোট প্রার্থনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব কিছুই করে দেব। কিন্তু আগামী নির্বাচনে আপনাদের কাছে একটাই আবেদন—নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে আরেকবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ দেবেন। আপনারা আমাকে হাত তুলে ওয়াদা করেন আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দেবেন কি না। এ সময় জনসভায় উপস্থিত জনতা হাত উঠিয়ে সাড়া দেন।
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার ঘোষণা: প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোয়াখালীর বিষয়ে আমার কাছে দাবি করার কিছু নেই। দাবি করার আগেই আমরা অনেক কিছু করেছি। নোয়াখালীতে আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলব। এরই মধ্যে আমি জেলা প্রশাসকে নির্দেশ দিয়েছে অর্থনৈতিক জোনের জায়গা ঠিক করার জন্য। এখানে শিল্প-কারখানা গড়ে তুলে বেকার সমস্যার সমাধান করব। এছাড়া নোয়াখালীর জলাবদ্ধতাসহ সব সমস্যা আমরা পর্যায়ক্রমে সমাধান করব।
সরকার গ্যাসের উত্পাদন বাড়াতে সচেষ্ট: আজ দুপুরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের শাহজাদপুরে সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বাপেক্সকে শক্তিশালী করে। দেশে প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্পাদন বাড়তে উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি সরকারের সময়ে বাংলাদেশ গ্যাসের ওপর ভাসছে এমন প্রচারণা চালিয়ে বিদেশিদের কাছে গ্যাস বিক্রির চুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। আমরা তখন বলেছিলাম আগে গ্যাসের মজুদ নির্ধারণ করতে হবে।
ফলক উন্মোচন এবং সুইচ টিপে আনুষ্ঠানিকভাবে এ গ্যাস ক্ষেত্রের উদ্বোধন এবং জাতীয় গ্রীডে গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর হাত দিয়ে যাত্রা শুরু এই গ্যাস ক্ষেত্রটি দেশের ২৪ নম্বর গ্যাস ক্ষেত্র। এই প্রকল্পে সরকারের ব্যয় হয় ৬০ কোটি টাকা। এ ক্ষেত্র থেকে বর্তমানে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
খালি খালি নোয়াখালী বলব না: প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে শুরুতেই জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, খালি খালি নোয়াখালী বলব না। এবার থেকে ভরা ভরা নোয়াখালী বলব। আমি আজ আপনাদের জন্য উপহার নিয়ে এসেছি। আজ সুন্দলপুর গ্যাস ক্ষেত্রের উদ্বোধন করলাম। এই গ্যাস ক্ষেত্রের গ্যাস যখন জাতীয় গ্রিডে যাবে। আর এই গ্যাস দিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। এখানে এই গ্যাস ব্যবহার হবে। নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেছি। তিনি বলেন, আগামীতে নোয়াখালীর দুঃখ, নোয়াখালী খাল পুনঃখনন করা হবে। বিগত নির্বাচনে নোয়াখালী-বাসী আমাদের দুটি সিট উপহার দিয়েছে সেজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই, কৃতজ্ঞতা জানাই।