রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এবার সাগরকলার ফলন ভালো হয়েছে। চাষিরা রঙ্গিন সাগর নামে নতুন জাতের কলা চাষ করে বেশি ফলন পেয়েছেন। তবে দাম গতবারের তুলনায় কম। ফলে আশানুরুপ লাভ হবে না হবে না বলে দাবি করছেন চাষিরা। পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কলাচাষিদের কাছ থেকে খবর নিয়ে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলার বানেশ্বরের নামাজগ্রাম এলাকার কলাচাষি মুনতাজ ইসলাম জানান, তিনি গত তিনবছর ধরে নতুন রঙ্গিন সাগরকলার চাষ করছেন। এ কলার ফলন অন্য কলার চাইতে ভালো। গত বছর ফলন ভালো হয়নি, কিন্তু লাভ হয়েছে বেশি। তখন একেকটি ছড়াছিল (ক্যান) ৩০০-৪০০টাকা। এবার সবচেয়ে ভালো ছড়াটি সর্বোচ্চ দুইশত ২০ টাকাই বিক্রি করছেন। প্রতিছড়ায় সাধারণত ২২হালি কলা হয়। ২৫-৩০জন শ্রমিক চুক্তি ভিত্তিকনিয়োগের ভিত্তিতে ৫ বিঘা জমিতে কলা চাষ করছেন। একই গ্রামের অপর চাষী আবুল হোসেন জানান, সার, শ্রমিক, সেচসহ সবকিছু মিলিয়ে এক হাজার কলা গাছের পেছনে বার্ষিক ব্যয় হয, এক ল পঁঁঞ্চাশ হাজার টাকা। বালিয়াঘাটি গ্রামের অপর এক চাষি লুৎফর জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে ৩৫০টি কলার চারা রোপন করা যায়। এক একরে মোট এক হাজার পঁঞ্চাশটি চারা রোপন করা যায়। তিনি ত্রিশ একর যায়গায় একত্রিশ হাজার পাঁচশত কলার চারা রোপন করেছেন। সাত মাস বয়সের পর থেকে কলা গাছে কলার থোড় বের হয়। শীতের সময় এগার মাসের কলার চুড়ান্ত উৎপাদন হয়। গ্রীষ্মে ১০ মাসেই কলার পরিপূর্ন উৎপাদন পাওয়া যায়। উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে। বৃহত্তর বানেশ্বর বাজারের কলা ব্যবসায়ী তাজেল জানান, এবার কলার চাহিদা অন্য সময়ের তূলনায় অনেক কম। আগে যে হারে কলা বিক্রী হতো এবার সেহারে কলা বিক্রি হচ্ছে না। অনেক সময় কলা দোকানে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, অন্যান্য ফলের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা করা হলে কলা বেশী লাভে বিক্রি করে যেতো। খুব দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশংকায় ব্যবসায়ীরা অল্প সময়েই কলা বিক্রি করে দেন। ফলে অনেক সময় কম লাভেই কলা বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হয়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার রঙ্গীন সাগর কলার চাহিদার তুলনায় ফলন বেশী হয়েছে। তাছাড়া উৎপাদন খরচের তুলনায় কলার দাম অন্যান্য বারের তুলনায় এবার একটু কম। তবে চাষীদের আশানুরুপ লাভ না হলেও লোকসান গুনতে হবে না।
উপজেলার বানেশ্বরের নামাজগ্রাম এলাকার কলাচাষি মুনতাজ ইসলাম জানান, তিনি গত তিনবছর ধরে নতুন রঙ্গিন সাগরকলার চাষ করছেন। এ কলার ফলন অন্য কলার চাইতে ভালো। গত বছর ফলন ভালো হয়নি, কিন্তু লাভ হয়েছে বেশি। তখন একেকটি ছড়াছিল (ক্যান) ৩০০-৪০০টাকা। এবার সবচেয়ে ভালো ছড়াটি সর্বোচ্চ দুইশত ২০ টাকাই বিক্রি করছেন। প্রতিছড়ায় সাধারণত ২২হালি কলা হয়। ২৫-৩০জন শ্রমিক চুক্তি ভিত্তিকনিয়োগের ভিত্তিতে ৫ বিঘা জমিতে কলা চাষ করছেন। একই গ্রামের অপর চাষী আবুল হোসেন জানান, সার, শ্রমিক, সেচসহ সবকিছু মিলিয়ে এক হাজার কলা গাছের পেছনে বার্ষিক ব্যয় হয, এক ল পঁঁঞ্চাশ হাজার টাকা। বালিয়াঘাটি গ্রামের অপর এক চাষি লুৎফর জানান, ৩৫ শতাংশ জমিতে ৩৫০টি কলার চারা রোপন করা যায়। এক একরে মোট এক হাজার পঁঞ্চাশটি চারা রোপন করা যায়। তিনি ত্রিশ একর যায়গায় একত্রিশ হাজার পাঁচশত কলার চারা রোপন করেছেন। সাত মাস বয়সের পর থেকে কলা গাছে কলার থোড় বের হয়। শীতের সময় এগার মাসের কলার চুড়ান্ত উৎপাদন হয়। গ্রীষ্মে ১০ মাসেই কলার পরিপূর্ন উৎপাদন পাওয়া যায়। উৎপাদিত কলা রাজধানী ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানী হচ্ছে। বৃহত্তর বানেশ্বর বাজারের কলা ব্যবসায়ী তাজেল জানান, এবার কলার চাহিদা অন্য সময়ের তূলনায় অনেক কম। আগে যে হারে কলা বিক্রী হতো এবার সেহারে কলা বিক্রি হচ্ছে না। অনেক সময় কলা দোকানে থাকতে থাকতে নষ্ট হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, অন্যান্য ফলের মতো দীর্ঘ সময়ের জন্য মজুদ রাখার ব্যবস্থা করা হলে কলা বেশী লাভে বিক্রি করে যেতো। খুব দ্রুত নষ্ট হওয়ার আশংকায় ব্যবসায়ীরা অল্প সময়েই কলা বিক্রি করে দেন। ফলে অনেক সময় কম লাভেই কলা বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হয়।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার রঙ্গীন সাগর কলার চাহিদার তুলনায় ফলন বেশী হয়েছে। তাছাড়া উৎপাদন খরচের তুলনায় কলার দাম অন্যান্য বারের তুলনায় এবার একটু কম। তবে চাষীদের আশানুরুপ লাভ না হলেও লোকসান গুনতে হবে না।