বৈরী আবহাওয়ার কারণে পুঠিয়ার বানেশ্বরে এবার কমেছে খেজুর গুড়ের উৎপাদন। গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রতিদিন অন্তত ৪০-৫০ টন গুড় উৎপাদন কমে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারপরও বৃহত্তর বানেশ্বর হাটে জমজমাট ভাবে চলছে খেজুরর গুড়ের কেনা-বেচা। রাজশাহীর গুড় আমদানির সর্ববৃহৎ হাট পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, এবার প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার হাটের দিন এই বাজারে এবার গড়ে অন্তত ৪০ মেট্রিকটন গুড় আমদানি কম হচ্ছে। গত শনিবার এ বাজার থেকে প্রায় ৯০ মেট্রিক টন খেজুর গুড় গেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অথচ গত বছর এ সময়ে প্রতি হাটে অন্তত ১৩০ মেট্রিক টন গুড় আমদানি হতো।
বাজারের কাজল ট্রেডার্সের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে খেজুর গুড়ের উৎপাদন কমে গেছে। এ বছর প্রচুর কুয়শার কারণে গুড়ের উৎপাদন কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এই হাটে গুড় বিক্রি করতে আসা গাছি (যিনি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় উৎপান করেন) চারঘাট উপজেলার মিড়কিমারী গ্রামের আলম জানান, শীত যত বেশি হবে, খেজুর গাছ থেকে রস তত বেশি পাওয়া যাবে। আবার রস যত বেশি হবে গুড়ও তত বেশি হবে। অপরদিকে কুয়াশা যত বেশি হবে, রস তত কমে যাবে। পাশাপাশি গুড়ের উৎপানও কমে যাবে। আর এ বছর অভাহত কুয়াশার কারণে খেজুর রস কমে গেছে এবং গুড় উৎপাদনও কমে গেছে। আরেক গাছি মুনসুর আলী প্রামাণিক জানান, এব বছর কুয়াশার কারণে গুড়ের উপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। কুয়াশার কারণে প্রচুর পরিমাণে গাছের হাড়িতে রসের সঙ্গে পানি জমছে। এতে করে পানিসহ রস জাল করে গুড় করতে অতিরিক্ত জ্বালানির প্রয়োজন হচ্ছে। আর জ্বালানি কিনতে অর্থ ব্যয়ও হচ্ছে বেশি। স্ েহিসিবে গুড়ের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার বানেশ্বর হাটে প্রতি কেজি খেজুর গুড় পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ দরে। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা দরে। কিন্তু গত বছরও প্রায় একই দাম ছিল। তবে গত বছর গুড় উপাদনে ব্যয় কম হয়েছে বলে দাবি করেন গাছিরা। রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘা, চারঘাটে সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় উৎপাদন হয়। এছাড়াও জেলার দুর্গাপুর, বাগমারা ও পবা এলাকার বেশকিছু এলাকায় এ গুড় উৎপাতন হয়। এটি এ অঞ্চলের শীতকালে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে কি পরিমাণ গুড় রাজশাহীতে উৎপাদন হয় এর কোনো তথ্য রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ দপ্তরে নাই বলেও দাবি করেন তিনি।
রাজশাহীর বানেশ্বর হাটের বিসমিলাহ গুড় আড়তের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে প্রায় সাড়ে চার মাস খেজুর গুড় উৎপাদন হয়। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ অঞ্চলে খেজুর গুড় উৎপাদন করেন গাছিরা। আর এ গুড় উপাদনের মাধ্যমে হাজার হাজার গাছি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। দুর্গাপুরের আমগাছী গ্রামের য়েন উদ্দিন জানান, তাঁর প্রায় ৬০টি খেজুর গাছ আছে। এ গাছের রস থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ কেজি গুড় উৎপাদন হয় তাঁর। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় অন্তত ৯০০ টাকা। ফলে প্রতি মাসে তিনি অন্তত ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন গুড় উৎপাদন করে। তবে এর পেছনে তাঁর শ্রম ও কিছু মেডিসিন এবং জ্বালানি করচ বাবদ অন্তত ১০ টাকা খরচ হয়। তারপরেও প্রতি মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা শুধু গুড় উপাদন করেই অতিরিক্ত আয় হচ্ছে তাঁর।
বাজারের কাজল ট্রেডার্সের মালিক আবুল কালাম আজাদ বলেন, এবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে খেজুর গুড়ের উৎপাদন কমে গেছে। এ বছর প্রচুর কুয়শার কারণে গুড়ের উৎপাদন কমেছে বলেও দাবি করেন তিনি। এই হাটে গুড় বিক্রি করতে আসা গাছি (যিনি খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় উৎপান করেন) চারঘাট উপজেলার মিড়কিমারী গ্রামের আলম জানান, শীত যত বেশি হবে, খেজুর গাছ থেকে রস তত বেশি পাওয়া যাবে। আবার রস যত বেশি হবে গুড়ও তত বেশি হবে। অপরদিকে কুয়াশা যত বেশি হবে, রস তত কমে যাবে। পাশাপাশি গুড়ের উৎপানও কমে যাবে। আর এ বছর অভাহত কুয়াশার কারণে খেজুর রস কমে গেছে এবং গুড় উৎপাদনও কমে গেছে। আরেক গাছি মুনসুর আলী প্রামাণিক জানান, এব বছর কুয়াশার কারণে গুড়ের উপাদন ব্যয়ও বেড়েছে। কুয়াশার কারণে প্রচুর পরিমাণে গাছের হাড়িতে রসের সঙ্গে পানি জমছে। এতে করে পানিসহ রস জাল করে গুড় করতে অতিরিক্ত জ্বালানির প্রয়োজন হচ্ছে। আর জ্বালানি কিনতে অর্থ ব্যয়ও হচ্ছে বেশি। স্ েহিসিবে গুড়ের দাম পাওয়া যাচ্ছে না। গত শনিবার বানেশ্বর হাটে প্রতি কেজি খেজুর গুড় পাইকারী বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ দরে। আর খুচরা বিক্রি হয়েছে ৭০-৭৫ টাকা দরে। কিন্তু গত বছরও প্রায় একই দাম ছিল। তবে গত বছর গুড় উপাদনে ব্যয় কম হয়েছে বলে দাবি করেন গাছিরা। রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, রাজশাহীর পুঠিয়া, বাঘা, চারঘাটে সবচেয়ে বেশি খেজুর গুড় উৎপাদন হয়। এছাড়াও জেলার দুর্গাপুর, বাগমারা ও পবা এলাকার বেশকিছু এলাকায় এ গুড় উৎপাতন হয়। এটি এ অঞ্চলের শীতকালে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে কি পরিমাণ গুড় রাজশাহীতে উৎপাদন হয় এর কোনো তথ্য রাজশাহী কৃষি স¤প্রসারণ দপ্তরে নাই বলেও দাবি করেন তিনি।
রাজশাহীর বানেশ্বর হাটের বিসমিলাহ গুড় আড়তের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, রাজশাহীতে প্রায় সাড়ে চার মাস খেজুর গুড় উৎপাদন হয়। বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে শুরু করে চৈত্র মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত এ অঞ্চলে খেজুর গুড় উৎপাদন করেন গাছিরা। আর এ গুড় উপাদনের মাধ্যমে হাজার হাজার গাছি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। দুর্গাপুরের আমগাছী গ্রামের য়েন উদ্দিন জানান, তাঁর প্রায় ৬০টি খেজুর গাছ আছে। এ গাছের রস থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ কেজি গুড় উৎপাদন হয় তাঁর। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় অন্তত ৯০০ টাকা। ফলে প্রতি মাসে তিনি অন্তত ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন গুড় উৎপাদন করে। তবে এর পেছনে তাঁর শ্রম ও কিছু মেডিসিন এবং জ্বালানি করচ বাবদ অন্তত ১০ টাকা খরচ হয়। তারপরেও প্রতি মাসে অন্তত ১৫ হাজার টাকা শুধু গুড় উপাদন করেই অতিরিক্ত আয় হচ্ছে তাঁর।