বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, কোন
বাংলাদেশী নাগরিক যদি অন্যায়ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে যায় তাবে তাকে আইনের আওতায় আনা
যেতে পারে তাকে হত্যা করবে এটা গ্রহণযোগ্য নয়। সীমান্তে সাধারণ মানুষকে হত্যা কারো
জন্যই কাম্য নয়। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত সরকারও উদ্বিগ্ন উলেস্নখ করে তিনি বলেন,
ভবিষ্যতে যাতে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড না হয় সে জন্য বিজিবি বিএসএফ উভয়েই কাজ করছে। তিনি
রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন ও ভারতের মোহদীপুর ক্যাম্পে
বিএসএফ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন।
বিকেলে বিজিবি মহাপরিচালক সোনামসজিদ স'ল বন্দরে এসে পৌছলে
সীমান্তের জিরো লাইনে তাকে স্বাগত জানান বিএসএফ’র আইজি কে কে শর্মা, বিএসএফ মালদা সেক্টরের
ডিআইজি অমরজিৎ সিংসহ বিএসএফ’র অন্যান্য কর্মকর্তা। পরে ভারতের মোহদীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে
বিকেল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রায় ২ ঘণ্টা সৌজন্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা
শেষে রাতে সোনামসজিদ বন্দরে বিজিবি মহাপরিচালক স্থানীয় সাংবাদিককের সঙ্গে কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘সৌজন্য আলোচনা হলেও সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে। সাম্প্রতিক
এলাকার ২ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এ ব্যাপারে তারা তাদের আভিমত
জানিয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে ভারত সরকারও উদ্বিগ্ন। একের পর এক হত্যাকাণ্ড তাদের
দেশের সরকারও ভালভাবে নিচ্ছেনা। নিচের লেভেলে যাতে আর এ রকম ঘটনা না ঘটে এবং ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে বিএসএফকে নির্দেশ
দিয়েছে’। তিনি জানান, আলোচনায় হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি মাদক চোরাচালন প্রতিরোধ নিয়ে কথা
হয়েছে। মাদক চোরাকারবারীদের ব্যাপারে আরো ভুমিকা রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বারবার কথা দিয়েও সীমান্তে গুলি করা হচ্ছে এমন প্রশ্নের
জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন. ‘প্রত্যেক দেশের আইন আছে। আমাদের দেশেও আছে তাদের দেশেও
আছে। কেউ যদি অন্যায়ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে তাকে আইনের আওতায় আনা যেতে পারে। কিন্তু
এ জন্য হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু আপনারা জানানে যে আনর্ত্মজাতিকভাবে কিছু নিয়ম-কানুন
আছে। আমরা এর জোরালো প্রতিবাদ করেছি এবং করছি’। তিনি জানান, ভবিষ্যতে যাতে না হয় আর
দু’দেশের সৌহার্দপূর্ণ সর্ম্পক যাতে বাজায় থাকে সে দিকে সচেষ্ট থাকার আশ্বাস দিয়েছে
বিএসএস।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, আমরা নানান সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে
দায়িত্ব পালন করছি। ইতোমধ্যে অনেক উন্নতি হয়েছে। সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে আমাদের
পেট্রোলিং বেড়ে যাবে। তখন অনেক দূর্ঘটনা কমে আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আলাপকালে বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে সাধারণ মানুষদের সচেতন
করতে সাংবাদিকদের ভুমিকা রাখার আহবান জানান এবং গরম্ন ব্যবসায়ীদের সীমান্তে নিয়ম মেনেই
চলাচলা করার অনুরোধ করেন।