রাজশাহী বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির দায় মোচনের জন্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অবশ্যই করতেই হবে। তরুণ প্রজন্ম যে যুদ্ধ শুরু করেছে সে যুদ্ধের জয় অবসম্ভাবি। শুক্রবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মোড়স্থ গণজাগরণ মঞ্চে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য প্রদানকালে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ৭১ এর চেতনা দিনে দিনে লোপ পেতে বসেছিল। কিন্তু তরুণ প্রজন্ম বাংলার সোনার ছেলেরা সেই মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছে। শণিত করেছে। শহীদ জননী জাহানারা ইমাম ৭১ এর ঘাতক রাজাকারদের বিচারের দাবিতে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। সেই যুদ্ধে আমরা ছিলাম। এখন শহীদ জননী নেই। শহীদ জননী যে সংগ্রাম শুরু করেছিলেন আজ তরুণরা সে কথায় বলতে রাস্তায় নেমেছে। তরুণদের এই যুদ্ধের পরাজয় নেই। যত বাধাই আসুক না কেন তরুণদের জয় অবসম্ভাবি। সাবেক ছাত্রনেতা কামাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় গণ জাগরণ মঞ্চে অন্যান্যের মাঝে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাবেকে উপাচার্যেও সহধর্মীনি রাশেদা খালেক। পরে গণজাগরণ মঞ্চে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’ প্রদর্শন করা হয়। পাশাপাশি প্রতিবাদি গানে গানে ও কবিতায় যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি করা হয়। এদিকে শুক্রবার কালের কণ্ঠের শুভ সংঘ যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি করে গণজাগরণ মঞ্চে সংহতি প্রকাশ করে। শুভ সংঘের আহবায়ক আব্দুর রব নাহিদ ও সদস্য সচিব আসাদুল্লাহ’র নেতৃত্বে শুভ সংঘের সদস্যরা এ সংহতি প্রকাশ করেন।