চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপু্রে জামায়াত-শিবিরের
সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জন নিহত হওয়ার ঘটনা ও পরবর্তী নাশকতামূলক কর্মকা-ের
কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩ টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি শিবগঞ্জে এবং একটি সদরে রয়েছে।
মামলা গুলোয় প্রায় দেড় হাজার জামায়াত শিবির কর্মীকে আসামী করা হয়েছে। এদিকে গতকাল শনিবারও
শ্যামপুর ও তার আশের পাশের এলাকা ছিল থমথমে। ইউনিয়নের তিনটি গ্রামজুড়ে শোকাবহ অবস'া।
নিহতদের পরিবারগুলোয় চলছে শোকের মাতম। ময়না তদনত্ম সম্পন্ন হলেও সন্ধ্যা পর্যনত্ম লাশ
হসত্মানত্মর হয়নি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট পলস্নী বিদ্যুৎ
কেন্দ্রে অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন মামলার আসামী ধরতে গিয়ে জামায়াত পুলিশ সংঘর্ষে ৩ জন
নিহতের ঘটনায় শুক্রবার রাতে শিবগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদি হয়ে দুটি মামলা দায়ের করে। শিবগঞ্জ
থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, শিবগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক দীপক
কুমার বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ শ জনকে এবং উপ পরিদর্শক শহীদুল
ইসলাম বাদি হয়ে ৯ জনের নাম উলেস্নখসহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ শ জনকে আসামী করে শুক্রবার রাত
১০ টায় মামলা করেন।
ওসি মিজান বলেন, ‘শুক্রবারের ঘটনার পর শ্যামপুর এলাকায় স্বাভাবিক
অবস'া ফিরে এসেছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ বা বিজিবি সদস্য মোতায়েন নেই’।
এদিকে, গুলিতে নিহত শ্যামপুরের বাবুপুরের মোহাম্মদ বদরের
ছেলে রবিউল ইসলাম, গোপালনগরের জিলস্নুর রহমানের ছেলে মতিউর রহমান এবং ওমরপুরের আব্দুল
হাকিমের ছেলে ওলিউলস্নাহ’র লাশ শুক্রবার রাতে ময়না তদনেত্মর জন্য চাঁপাইনবাগঞ্জ সদর
হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, নিহতদের লাশ হাসপাতালে আসার সময় কোন
পুলিশ লাশের সঙ্গে ছিলনা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম
জানান, শনিবার বিকেল ৫ টার দিকে ময়না তদনত্ম শেষে সদর থানা পুলিশের কাছে লাশ হসত্মানত্মর
করা হয়েছে। সুরতহাল রির্পোট প্রসঙ্গে বলেন, ‘ হাসপাতালে লাশ আসার পর আমার সদর থানা
পুলিশকে খবর দেই সুরতহাল করার জন্য’।
অন্যদিক বিকেলে ময়না তদনত্ম সম্পন্ন হলেও এ রির্পোট লেখা
সময় পর্যনত্ম ( সন্ধ্যা ৭) নিহতদের লাশ তাদের পরিবারের কাছে পৌছেনি। স'ানীয় সূত্র জানিয়েছে,
ময়না তদনত্ম শেষে লাশ ফিরে সন্ধ্যার আগেই লাশ ফিরে আসবে এমন খবর শ্যামপুরের চামার বাজারে
নামাজে জানাজার আয়োজন করা হয়। কিন' লাশ না পেীছায় গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ওই
সূত্র জানিয়েছে, গুলিতে দুই কৃষক ও এক ছাত্রের নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনও থমথমে অবস'া বিরাজ
করছে গোটা এলাকায়। সনত্মানদের হারিয়ে শোকের মাতম চলছে নিহতদের পরিবারগুলোর মাঝে। নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক গোপালনগরের এক যুবক সেল ফোনে জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর রাতে পুলিশের
বৃষ্টির মত নির্বিচারের গুলি বর্ষণের ঘটনায় আত্মংকিত হয়ে আছে তিনটি গ্রামের শত শত মানুষ।