চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বাতেনখাঁর মোড়ে রোববার সন্ধ্যায় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যাক্তির নাম এবাদত আলী (৩৬)। সে শহরের পুরাতন সিএণ্ডবি ঘাট এলাকার মহাসেন আলী মিস্ত্রীর ছেলে। রাতে সে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সে মারা যায়।
প্রত্যড়্গদর্শী ও স'ানীয়রা জানায়, হরতাল শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে জামায়াতের নায়েবে আমীর ইউসুফ আলীর গ্রেফতার, রাজশাহীতে র্যাবের হাতে শিবির কর্মী শাহাদত হোসেন নিহতের প্রতিবাদ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শিবিরকর্মীরা মিছিল বের করে। শহরের নীমতলা এলাকা থেকে বের হওয়া মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহরের বাতেনখাঁর মোড় অতিক্রম করার সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। শুরম্ন হয় শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। পুলিশ পরিসি'তি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশকিছু রাউ- রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে। এতে মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হলে গেলেও বাতেনখার মোড়ের দোকানদার (ডিম ও পটলপাতের বড়া বিক্রেতা) এবাদত আলী (৩৬) গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তাকে আশংকাজনক অবস'ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস'ার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজশাহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস'ায় সে মারা যায়। তার দেহে কয়েকটি গুলি লাগে।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার বশির আহম্মেদ স'ানীয় সাংবাদিকদের জানান, পরিসি'তি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩ রাউ- শর্টগানের গুলি ও ৮ রাউ- রাবার বুলেট নিড়্গেপ করে।
এদিকে, এ ঘটনার পর পুলিশ সদর হাসপাতাল এলাকায় অভিযান চালায়। প্রত্যড়্গদর্শীরা জানায়, সেখানেও পুলিশ কয়েক রাউ- গুলি ও ব্যাপক লাঠিচার্জ করে। হাসপাতাল সড়কের একটি ক্লাব ঘর থেকে ১৮ জনকে আটক করে। পুলিশ সূত্র জানায়, আটক হওয়াদের বেশ কয়েকজন পরে ছেড়ে দেয়া হয়। এঘটনায় শহরে থমথমে অবস'া বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।